পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কি ওজনে আর কি দামে সোনার সাথে পাল্লা দিতে পারে। যে অসাধারণ ধাতু সে ধাতুর সঙ্গে পরিচয় নেই সাধারণ মানুষের । প্ৰয়োজনও নেই। সোনাই মানুষের আদরের সোনামানিক । জানা কথাটা রাখালের অভিজ্ঞতায় যাচাই হয়েছিল সেদিন, বিশুকে পড়াতে গিয়ে ঘর খালি পেয়ে বিশুর মার একরাশি গয়নার সামান্য একটা অংশ যেদিন না বলে ঋণ হিসাবে গ্ৰহণ করেছিল। গয়না। কাঁটার ওজন তাকে আশ্চৰ্য্য করে দিয়েছিল। রাখাল জেনেছে, সোনার আরেকটা ওজন আছে। অন্যরকম ওজন ৷ ” অবস্থার ফেরে সোনা যখন চাপ দেবার সুযোগ পায় মানুষের বিবেকে, তখন বিবেকে চাপানো সেই সোনার চেয়ে ভারি। আর কিছুই থাকে না। এ জগতে । ফাক পেলেই সোনা বিবেকে চেপে বসে । যুক্তি অযুক্তি কিছুই খাটে না, মনের জোরে তুচ্ছ করা যায় না, বেপরোয় বেশ কবেছি মনোভাব দিয়ে দেওয়া যায় না। উড়িয়ে । না বলে একজনের গয়না ধার হিসাবে নিলেও বিবেককে সে গয়না কামড়াবেই কামড়াবে। চাের হয়ে চুরি করলেই বরং এত বেশী কামড়ায় না । চোর ছ্যাচোরের কাছে সোনার চেয়ে দামী কিছুই নেই ! বড় বড় রাজা মন্ত্রী চোরের বিবেকে একেবারেই কামড়ায় R