পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেজোগুজে রিয়ে বাড়ীতে গিয়ে কনেকে নিজের কানপাশা উপহার দিতে পারবে না বলে, দশজন আত্মীয়বন্ধুর কাছে মিথ্যা সম্মান মিথ্যা সমাদর পাবে না বলে, পাগল হয়ে যেতে বসেছে । তাকে আর তার রকমন্সকম দেখে কে না বুঝবে যে এটা “শুধু তার একটা জোরালো সাধ নয়, সাধটা না মিটলে সে শুধু গভীর মনোবেদন পাবে না-এটা তার জীবনের চরম কামনায় দাড়িয়ে গেছে, এ কামনা না মিটালে হয় তো সে সত্যই পাগল হয়ে যাবে । ভাবতেও ঘুণ বোধ হয় রাখালের । নিরুপায় বিদ্বেষে নিশ্বাস তার আটকে আসতে চায় নতুন হার তাকে এনে দিতেই হবে। নিয়েও যেতে হবে রেবার বিয়েতে । তাছাড়া উপায় নেই। এই সামান্য ব্যাপারে মাথা বিগড়ে দেওয়া যেতে পারে না। সাধনার । যত প্ৰতিক্রিয়া হবে সব ভোগ করতে হবে তো তাকেই । ছেলেটার কথাও তো ভাবতে হবে । রাখালকে সাধনার পাষণ্ড মনে হয় । রক্তমাংসের মানুন্য নয়, অস্বাভাবিক অমানুষিক কিছু দিয়ে গড় । চোখ ফেটে তার জল আসতে চায় । যে রাখাল এত বড় বড় কথা বলত, এত ছোট তার মন ? পাশাপাশি শুয়েও সে ভুলতে পারে না। তাদের কলহ হয়েছে ? পাশাপাশি শুয়ে নীরব উপেক্ষায় তাকে কাবু করে কলহে জয়ী হতে চায় ? এত সে নীচ ? R