বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়েছে, দম্ব্যর মত আধ-শুকনো মাই টানে ছেলেটা, বহুক্ষণ মাই দু’টি তার টনাটনিয়ে থাকে। পোয়াটেক গরুর দুধ না বাড়ালে আর চলে না । হঠাৎ তাই সখেদে বলে, হারটার ব্যবস্থা করবে না ?” খালি গলায় থাকতে পারব না। আমি। নতুন তো চাইছি না, সে আশা ছেড়ে দিয়েছি। সোনা আছে, শুধু মজুরি দিয়ে গড়িয়ে দেবে, তাও জুটবে না। কপালে ? দশজনের কাছে আমি মুখ দেখাতে পারি না ! রাখাল কথা বলে না । গা যখন জ্বলে যায়। তখন কথা কওয়া মানেই ঝগড়া করা। তিনটে সিগারেটের একটি আধখানা টেনে নিভিয়ে রেখেছিল, সকালে খাবে। সেটা নিয়ে রাখাল ধরায় । ঘুম আসছে। ঘুমোলেই একেবারে সকাল । তবু মনে হয়। সকালের এখনো অনেক দেরী। মাঝে মাঝে অসহ্য ঠেকলেও দু’চারজনের কাছে যেচে, যেচে কৈফিয়ৎ দিয়ে আর হারটা যে তার বজায় আছে তারক প্ৰমাণ দেখিয়েই সাধনা দিন কাটিয়ে দিত। মুস্কিল হল হঠাৎ রেবার বিয়েটা ঠিক হয়ে যাওয়ায়। রেবা রাখালের দিদি অনিমার বড় মেয়ে । বিকালে রেবার বাবা প্ৰিয়তোষ স্ত্রী কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে খবরটা দিতে এবং নিমন্ত্রণ জানাতে আসে । আচমকা সব ঠিক হয়ে গেছে, আগে থেকে কিছুই জানতে. পারে নি, ক’দিন বাদেই বিয়ে-এত অল্প সময়ের নোটিশে ܠ