একটুকরো ন্যাকড়ায় বেঁধে একখানা আস্ত খবরের কাগজেজড়িয়ে পুটলি করে নেবার সুযোগ পায়। চাকরীর খবরের আশায় আজও সে প্রতি রবিবার দু’খানা। কাগজ কেনে, মাঝে মাঝে দরখাস্তও পাঠায় । বিছানায় স্থির হয়ে বসে মিনিটখানেক সে ভাবে । নিজের ভিতরটা তার এত বেশী ধীর শান্ত মনে হয় যে উঠে. দাড়িয়ে দেয়ালে টাঙ্গানো আয়নায় নিজের মুখ দেখে প্ৰায় চমকে ওঠে । গামছায় মুখ মুছে সে মৃদুস্বরে সাধনাকে ডাকে ৷ সাধনা ঘরে এলে বলে, তোমার হারটা দাও । ঃ কেন ? ঃঃ আজ একটা ব্যবস্থা করে ফেলব । ঃ তোমার কিছু করতে হবে না । ঃ করতে হবে না ? ঃ না যা করবার। আমিই করব । একটু যদি ভাববার সময় পেত সাধনা । আচমকা ডেকে বিনাভূমিকায় হারের কথা না তুলে, তার প্রস্তাবের জবাব দেবার জন্য কয়েক মিনিট প্ৰস্তুত হবার সময় যদি রাখাল তাকে । দিত । এমন স্পষ্টভাবে সোজাসুজি রাখালকে বাতিল করে দেওয়ার বদলে এই সুযোগে সে নিশ্চয় রাখালকে জানিয়ে দিত, যে:হারের ব্যবস্থা সে ইতিমধ্যেই অৰ্দ্ধেকটা করে ফেলেছে। রাখাল চলে যাবার পর সাধনা এই কথাই ভাবে আর আপশেষ করে।. রাখাল নিজে থেকে নরম হয়ে তার কাছে, N O R
পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২
অবয়ব