যাচাই করতে করতে সে যখন মাঝে মাঝে বঁকা চোখে তার দিকে তাকায়, বলতে থাকে যে অনেক ভেজাল আর ময়লা মেশানো আছে গয়নাগুলির সোনার অঙ্গে, গিনির চেয়েও বিশ টাকার মত কম হবে এ সোনার দর, ব্যাপারটা রাখাল বুঝতে পারে। বুঝতে পারে যে তার ভাবসাব দেখেই পোদার অনুমান করে নিয়েছে। পিছনে গোলমাল আছে তার এই গয়না বেচিতে खांद्र । এক মুহুর্তের জন্য অবসন্ন বোধ করে রাখাল । এক মুহুর্তের জন্যই। এক মুহুর্তে সে যেন নিজের সমস্ত জীবনের মূলমন্ত্র মনে মনে আউড়ে নেয়। না, সে চোর নয়। সে চুরি করে নি। এ দুর্বলতাকে প্রশ্ৰয় দিলে চলবে না । মুখ গভীর করে কড়া সুরে সে বলে, তবে থাক, অন্য জায়গা দেখি । বিশ টাকা কম । একি তামাসা পেয়েছ ? আমার ঘরের জিনিষ, আমি জানি না সোনা কেমন ? ) বলতে বলতে সে উঠে দাড়ায়, রেগে বলে, থাক না মশায়, অত ঘষবেন না । আমার বাড়ীতে বিপদ, নষ্ট করবার সময় আমার নেই। পোদার সঙ্গে সঙ্গে অন্য মানুষ হয়ে যায় । সবিনয়ে বলে, বসেন না। বাবু, বসেন। ভুল সবারি হয়। ওহে সুবল, তুমি একবার দ্যাখে দিকিন তারপর একেবারে বিশ টাকা নয়, গিনি সোনার বাজার S8
পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪
অবয়ব