আশা নিশ্বাস ফেলে বলে, তাই ভাল। আপনি একটু সঙ্গে যাবেন তো ? ওকে দিয়ে আমার ভরসা। হয় না । আশা অনায়াসে একথা বলে এবং কথাটা কারো কানে বাজে না,-সাধনারও নয় । কে না জানে যে আশাবা ভয়েই সঞ্জীব রাখালকে বাড়ীতে এড়িয়ে চলে। কিন্তু মানুষকে এড়িয়ে চলার মত শক্ত নয় বলে পথে ঘাটে দোকানে দেখা হলে রাখালের সঙ্গেই সে গায়ে পড়ে যেচে আলাপ করে । সেই আশা এখন বুদ্ধি পরামর্শ চাইছে রাখালের কাছে, ঘোষণা করেছে যে রাখাল ছাড়া সঞ্জীবকে দিয়ে তার ভরসা নেই । এসব কথা মনে পড়ে কিন্তু তুচ্ছ হয়ে যায়। এখন সে বিপদে পড়েছে, এখন তো বিচারের সময় নয়। আশার । আশার এই আকস্মিক বিপদ সামলে দেবার দায়িত্ব রাখাল আগেই নিয়েছে-যখন সে সঞ্জীবকে ধমক দিয়ে আশার সঙ্গে ঘরের মধ্যে পরামর্শ করতে পাঠিয়েছিল। সে ছাড়া কার ভরসা করবে। আশা ? সঞ্জীব পুতুলের মত দাড়িয়ে থাকে। রাখাল কথা বলে পাওনাদার লোকটির সঙ্গে ৷ গায়ের গয়না বাক্সের গয়না পুটলি করে এনে আশা হাতে তুলে দেয় রাখালের । হাঙ্গামা সেরে রাখাল ফেরা মাত্র ঘরে গিয়ে সাধনা বলে, এটা কি রকম ব্যাপার হল ? 'এমন ছেলেমানুষ ভদ্রলোক ?
- ছেলেমানুষ, তবে খুব বেশী আর কি এমন ছেলেমানুষ ?
A R R