সাধনা চেছে পুছে সব ভাত বেড়ে নিয়েছে। ডালতরকারীর পাত্র দুটিও চাছামোছা । ‘অর্থাৎ সে আজ বাইরে থেকে খেয়ে না এসে যে ভাত আর ডালতারকারী দু’জনে ভাগ করে খেত, সাধনা একাই তা খেয়েছে। অনেকদিন পরে আজ তাদের পেট ভরেছে দুজনেরই। তার ভরেছে বড়লোকের বাড়ীর ংসভাতে, সাধনার ভরেছে স্বামীর ভাগের অন্নটুকু বাড়তি পেয়ে । তাড়াতাড়ি খাওয়া সেরে হেঁসেল তুলে ঘরে গিয়ে সাধনা বাক্স খোলে। কিনে কিছু দেবার ক্ষমতা নেই, নিজের বিয়েতে পাওয়া কিছু দিয়ে যদি মান রক্ষা করা যায়। গম্ভীর মুখে হুকুমের সুরে রাখাল বলে, সোণার কিছু দিতে পারবে না । সাধনা মুখ ফিরিয়ে তাকায় -কাণপাশাটা নতুন আছে। ওটাই দেব । ঃ তোমার কাণপাশা। যদি তুমি রেবাকে দাও; কি করবে ? মারবে ? একটা কিনে দাও, আমারটা দেব না । বার আনি সোণাতেই কাণপাশা হবে । ঃঃ আমরা রেবার বিয়েতে যাব না । ঃ তুমি না যেতে পার, আমি যাব। আজ রাত্রে তারা অনেক দিন পরে পেট ভরে খেয়েছে। আজ রাত্রেই অনেকদিন পরে তাদের সোজাসুজি প’ষ্টাপষ্টি সামনা সামনি সংঘাত বাধল ।
পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪
অবয়ব