পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যার ফলে হতভম্ব হয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ বোবা হয়ে থাকতে হল তাদের । তারপরেও অবশ্য সাধারণ দরকারী কথা হল সাধারণ ভাবেই । খানিকটা প্ৰাণহীন উদাসীনতার সঙ্গে । এক বিছানায় পাশা পাশি শুয়ে রাত কাটল দু’জনের। প্ৰাণের জ্বালায় কিছুতে ঘুম না। আসায় দু’জনেরি মনে হল ভালবাসার খেলায় হয় তো বা এই নিষ্ঠৱ ব্যবধান খানিকটা ঘুচিয়ে দেওয়া যাবে। অন্ততঃ সামঞ্জস্য ঘটানো যাবে খানিকটা । কিন্তু চাইলেই যেমন চাকরী মেলে না, শুধু সাধ হলেই তেমনি বিবাদও ঘুচে যায় না মানুষের । সাধের সাধ্য কি বাস্তবকে বাতিল করে দেয় । সকালে পাড়ার ছেলেটিকে পড়াতে গিয়ে রাখাল ভাবে, তার ছাত্রটির মা বাবার মত প্ৰাণ খুলে কোমর বেঁধে গলা ফাটিয়ে চীৎকার করে তারা যদি ঝগড়া করতে পারত, ওদের মতই আধা ঘণ্টার মধ্যে আবার সব মিটমাট করে নিতে পারত নিজেদের মধ্যে,-যেন কিছুই ঘটেনি ! সকাল বেল। কলতলায় জলের জন্য দাড়িয়ে বাড়ীর পাশের অংশের নতুন ভাড়াটে রাজীবের স্ত্রী বাসন্তীর চড়া ঝাঁঝালো সরু গলার আওয়াজ শুনতে শুনতে সাধনা ভাবে, ছোট বড় সব ব্যাপারে সেও যদি এরকম যখন তখন মেজাজ দেখাত আর রাখাল সেটা সয়ে যেত । রাখালের সকালের এই ছাত্রটি সতীশ মল্লিক চৌধুরীর ছেলে বিশু । দেবেন ঘোষের দোতলা বাড়ীটা কিনে RNO