বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাত নামায়, আলু কুমড়ার তরকারী চাপায়, আধাপোয়া মাছ সাতলে ঝোল করে-তারই ফঁাকে ফঁাকে ছেলেকে আধশুকনো মাই চুষতে দেয়। এসব যেন অন্য কেউ করছে, সাধনা নয় । কত বিশ্বাস, কত ধারণা, কত সংস্কার যে তার মিথ্যা হয়ে গেছে। এই একটা অসম্ভব সম্ভব হওয়ায়-যা সম্ভব কি অসম্ভব এ বিষয়ে চিন্তা পৰ্য্যন্ত করার দরকার হয় নি। এতদিন, সেটা একেবারে কঠোর বাস্তব সত্য হয়ে দেখা দেওয়ায়। উনান নিভে এসেছে। কয়লা রাখার পুরাণে ভাঙ্গা বালতিটার দিকে চেয়ে সাধনার হঠাৎ হাসি পায়। একটুকরো কয়লা নেই। অন্ততঃ পাঁচ সেরা কয়লা এনে দেবার জন্য রাখালকে বলতে হবে । নইলে মাছের ঝোল নামবে না । ঘরে গিয়ে তাক থেকে একটা বই নিয়ে আসে-মস্ত এক গয়ণার দোকানের ক্যাটালগ। কত প্যাটানের সাধারণ অসাধারণ কত রকমের সোণা আর জড়োয়। গয়ণার ছবিশুদ্ধ তালিকাই যে বইটাতে আছে। যত্ন করে তাকে তুলে রেখেছিল-কোনদিন যদি দরকার হয়। প্যাটার্ণ বেছে পছন্দ করার । পাতা ছিড়ে ছিড়ে উনানে দিয়ে সে ঝোলটা রাধে । রাখাল এসে লেখা চিঠিখানা তার হাতে দেয়। তার দাদা প্ৰসন্নকে নিজের নিরুপায় অবস্থার কথা খুলে লিখে রাখাল জানিয়েছে যে সাধনা যদি মাস তিনেক গিয়ে তার