টাঙ্গানো আছে। বড়ই জনপ্রিয় হয়েছে ছবিটি । বনবাসিনী স্বামীসোহাগিনী সীতা ধনুকধারী সন্ন্যাসী রামের অঙ্গলগ্ন হয়ে হাত বাড়িয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে অদূরে সোনার হরিণকে। ছবির দিকে তাকানো মাত্ৰ বোঝা যায় সীতার কি আবদায়-জগৎ সংসার চুলোয় যাক, সোনার হরিণ তার চাই ! রাজার মেয়ে আর রাজার যে ছেলে রাজা হবে তার বেী : কত সোনার কত গয়নাই না জানি সীতার ছিল । সব গয়না ফেলে, গায়ের গয়নাগুলি পৰ্যন্ত খুলে রেখে বনে যেতে মায়া হয় নি। সীতার। কিন্তু বনের মধ্যে সোণার হরিণ দেখেই মেয়েদের চিরন্তন সোণার লোভ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, তার অবুঝ আবদারের কাছে হার মানতে হয়েছে রামের । গায়ণা ফেলে আসতে মায়া হয় নি, সে কি এইজন্য যে চোদ্দ বছর দেখতে দেখতে কেটে যাবে ? চোদ্দ বছর পরে রাম আবার রাজা হলে ওই রেখে যাওয়া সোনার গয়নার সঙ্গে আরও কত গয়না যোগ হবে সীতার । নয় তো নতুন প্যাটার্ণের নতুন একটা গয়নার মত সোনার একটা হরিণ দেখে এমন মোহ কি জাগতে পারে। সীতার, গায়ের গয়নাগুলি পৰ্যন্ত যার তুচ্ছ করে ফেলে আসতে একবার ভাবতে হয় নি ? চা জুড়িয়ে যায়। ধীরে ধীরে মাথাটা বেঞ্চের উপর নেমে আসে রাখালের । চায়ের জন্য পয়সা দিতে হবে । চায়ের কাপে একটা চুমুক না দিয়েই বেচারী গভীর ঘুমের কবলে গিয়ে 9t(Vyg VGD
পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯
অবয়ব