করে এই পৰ্য্যন্ত । এ ধারণাই বা তুমি কোথায় পেলে নিজে রোজগার করলেই মানুষ স্বাধীন হয় ? পুরুষরা অন্ততঃ তাহলে স্বাধীন হয়ে যেত! সত্যিকারের স্বাধীনতা অনেক বড় জিনিষ । ঃ মেয়েদের চাকরীবাকরী করার তা হলে কোন মানে নেই ? ঃ মানে আছে বৈকি ! মস্ত মানে আছে । এদেশে বেশ কিছু মেয়ে ঘরের কোণ ছেড়ে রোজগার করতে বেরিয়েছে, এ একটা কত বড় পরিবর্তনের লক্ষণ আমাদের চেতনার। এটা কি সোজা কথা হল ? সব চেয়ে বড় কথা কি জানো ? যারা রোজগার করতে ঘর ছেড়ে বেরোয় নি। তারাও এটা মেনে নিয়েছে । মেয়েমানুষ আপিস করে শুনে ঘরের কোণার ঘোমটা-টানা বৌও চোখ বড় বড় করে গালে হাত দেয় না । সেকেলে গোড়া পুরুষ এটা পছন্দ না করলেও সায় দিয়েছেআমার ঘরে ওসব চলবে না, তবে সমাজে চলছে, চলুক। পুরুষের অ্যাপ্রভড উপায়ে মেয়ের রোজগার করুক এটা চালু হয়ে গেছে সমাজে-কিছু মেয়ের চাকরী করার চেয়ে এটাই दएछ कथi । ঃ পুরুষের অ্যাপ্রভড উপায়ে ? চায়ের কাপে শেষ চুমুক দিয়ে রাখাল স্থির দৃষ্টিতে প্রভার মুখের দিকে চেয়ে বলে, তাছাড়া কি উপায় আছে ? সামাজিক অনুমোদন মানেই পুরুষের অনুমোদন । এটা হল চাকরী-বাকরীর বেলায় । অন্যভাবেও মেয়ের রোজগার করে-সমাজ সে নোংরা উপায়টাতে সায় দেয় না, s
পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯
অবয়ব