বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজের সর্বনাশ করে বসবে। সবদিক দিয়ে দারুণ দুঃসময়, আর কাজ নেই অশান্তি বাড়িয়ে । এই ভয়টাই আবার যেন তাকে ঘা মেরে কঠিন করে দেয় । এই ভয় যেন তাকে বলে দেয়, তোমার মত নিরুপায় অসহায় কেউ নেই, রাখাল ছাড়া তোমার আর গতি নেই, তোমার সাধ্য নেই রাখালের বিরুদ্ধে যাবার। রাখালের ইচ্ছা! অনিচ্ছা খুলী আখুলীই তোমার ইচ্ছা অনিচ্ছা খুলী আখুসী। রাখাল যদি রাখে। তবেই তোমার মান থাকে । রাখাল খেতে পরতে না দিলে তুমি খেতে পাবে না, ন্যাংটো হয়ে থাকবে, খেয়াল নেই তোমার ? আগে খেয়াল ছিল না। সত্যই, নিজের জিদ বজায় রাখতে গেলে রাখাল শেষ পৰ্য্যন্ত কি করবে। এই ভয় এবার হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দিয়েছে । একেবারে যেন ধুলায় লুটিয়ে দিয়েছে নিজের সম্পর্কে তার মৰ্য্যাদাবোধ, এ সংসারে তার অধিকারবোধ মনুষ্যত্ববোধ ! এই তবে তার আসল সম্পর্ক রাখালের সঙ্গে, সংসারের এইখানে তার আসল স্থান ? ও বাড়ীর সুধা নিয়মিত ভাবে মারধোর লাথি ঝাটা পায় স্বামীর কাছে । সুধার সঙ্গে তার আসলে কোন পার্থক্য নেই ৷ রাখাল যে তাকে মারধোর করে না সেটা নিছক রাখালের রুচি। এর মধ্যে তার কোন বাহাদুরী নেই। তখন আবার বিগড়ে যায়। সাধনার মন । এক উগ্ৰ প্ৰচণ্ড বিদ্রোহ জাগে তার মধ্যে । হোক তার সর্বনাশ, ভেঙ্গে R O