ইঙ্গিত সে করেছে, সেটা রাজীবের সম্পর্কেই। রাজীবের মনের মধ্যে কি আছে না আছে সে কথা বলায় তার অপমান কিসের ? সে রাজীবকে প্রশ্ৰয় দেয় এরকম ইঙ্গিত তো রাখাল করে নি । নিজেই সে ফেনিয়ে ফাপিয়ে তুলেছে ব্যাপারটা নিজের মনের মধ্যে। যা শুধু মনোমালিন্য স্বামীস্ত্রীর, সেটাকে দাড় । করিয়েছে তার মনুষ্যত্ব বজায় থাকা না থাকার প্রশ্নে । তাছাড়া,-সাধনা এ কথাটাও ভাবে-সংসারে সে তো এক নয়। স্বামী যাকে খেতে পরতে দেয়, স্বামীই যার একমাত্র -গতি । সব স্ত্রীরই এক দশা । এজন্য বিশেষভাবে নিজেকে ধিক্কার দেবার কি আছে ? স্বামীত্বের অধিকার যদি রাখাল একটু খাটাতেই চায়, আর দশজনের মত সেটুকু মেনে নিলেই বা দোষ কি ? সুধার মত লাথি আর চাবুক সয়ে যাবার প্রশ্ন তো নয় । কিন্তু বেশীক্ষণ একভাবে থাকে না তার মন । পালা করে নরম আর গরম হয়, আপোষ থেকে বিদ্রোহে গীতায়াত চলে । 6डाव्लोद्भ भी दलिछिब्ल दिकांgव्ल उांनद । বেলা পড়ে আসে, তার দেখা নেই। এ আবার আরেকটা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাড়ায় সাধনার । হার বিক্রীর টাকা থেকে সে নিজেই মাকড়ি দুটো বঁধা রেখে ভোলার মাকে পচিশটা টাকা দেবে ভেবেছে । ভরি খানেক কম সোনার একটা নতুন হার সে কিনবে। GSR
পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২
অবয়ব