“যায়। কাছাকাছি গিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে চেয়ে থাকে। সমান দূরে দূরে সাজিয়ে বসানো ছাচে ঢালা ছোট ছোট ঘর, টুকরো টুকরো বাগান, সরু সরু পথ-চারিদিক পরিষ্কার ঝকঝকে । ঠিক যেন ছবিব মত। ঘর হারাণো মানুষগুলি সব গড়েছে নিজের হাতে ৷ এখনো কোনো ঘরের টুকিটাকি কাজ "চলেছে, কাজ করছে স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে । কয়েক হাত বাগানটুকুতে পুরুষ লাগাচ্ছে সজিচরা, পুকুর থেকে জল এনে দিচ্ছে তার বেী ৷ রাস্তার কাল থেকে কেউ কলসী করে জল আনছে, কেউ ধরাচ্ছে উনান, কেউ বেঁধে দিচ্ছে আরেকজনের চুল । ভোলার মার ঘরটি পূব-দক্ষিণ কোণে । কলোনির একজন ঘরটা সাধনাকে দেখিয়ে দেয় । সতের আঠার বছরের একটি মেয়ে বলে, কি চান ? ঃ ভোলার মা ঘরে নেই ? ঃ মা ? মা ডিম বেচিতে গেছে । ছেলেকে মাটিতে নামিয়ে দিয়ে সাধনা বলে, তুমি छ्शै, ना ? মাথা হেলিয়ে সায় দিয়ে দুৰ্গা বলে, আসেন, বসেন । একটা চওড়া বেঞ্চের মত মাটির দাওয়া, তাতে একটা তালপাতার চাটাই-এর আসন দুৰ্গা বিছিয়ে দেয় । বসতে বসতে সাধনা বলে, বসব কি, আমি তোমার মার খোঁজে এলাম, তোমার মা হয় তো। ওদিকে আমার বাড়ী গেছে। Q98
পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪
অবয়ব