পাতা:সোনার তরী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী। বিকচ কুসুমসম ফুল্ল মুখখানি নিদ্রাভঙ্গে দেখা দিতে, নিয়ে যেতে টানি’ উপবনে কুড়াতে শেফালি। বারে বারে শৈশব-কৰ্ত্তব্য হতে ভুলায়ে আমারে, ফেলে দিয়ে পুথিপত্র, কেড়ে নিয়ে খড়ি, দেখায়ে গোপন পথ দিতে মুক্ত করি পাঠশালা কারা হতে ; কোথা গৃহকোণে নিয়ে যেতে নির্জনেতে রহস্ত-ভবনে ; জনশূন্ত গৃহছাদে আকাশের তলে কি করিতে খেলা, কি বিচিত্র কথা বলে’ ভুলাতে আমারে, স্বপ্নসম চমৎকার অর্থহীন, সত্য মিথ্যা তুমি জান তার। দুটি কর্ণে দুলিত মুকুতা, দুটি করে সোনার বলয়, দুটি কপোলের পরে খেলিত অলক, দুটি স্বচ্ছ নেত্র হতে কঁাপিত আলোক, নিৰ্ম্মল নিৰ্ব্বর স্রোতে চূর্ণরশ্মিসম। দোহে দোহা ভাগ করে চিনিবার অাগে নিশ্চিন্ত "ি সভরে খেলাধূলা ছুটাছুটি দুজনে সতত, কথাবার্তা বেশবাস বিথান বিতত । তার পরে এক দিন—কি জানি সে কবে— জীবনের বনে, যৌবন-বসন্তে যবে