পাতা:সোনার তরী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানস-সুন্দরী । 、)○ প্রথম মলয় বায়ু ফেলেছে নিশ্বাস, মুকুলিয়া উঠিতেছে শত নব আশ, সহসা চকিত হয়ে আপন সঙ্গীতে চমকিয়া হেরিলাম—খেলাক্ষেত্র হতে কখন অন্তর-লক্ষ্মী এসেছ অন্তরে আপনার অন্তঃপুরে গৌরবের ভরে বসি আছ মহিষীর মত ! কে তোমারে এনেছিল বরণ করিয়া ? পুরদ্বারে \ কে দিয়াছে হুলুধ্বনি ? ভরিয়া অঞ্চল কে করেছে বরিষণ নব পুষ্পদল তোমার আনম শিরে আনন্দে অাদরে ? সুন্দর সাহানা রাগে বংশীর সুস্বরে কি উৎসব হয়েছিল আমার জগতে, যে দিন প্রথম তুমি পুস্পষ্ণুল্ল পথে লজ্জামুকুলিত মুখে রক্তিম অম্বরে বধু হয়ে প্রবেশিলে চির দিন তরে আমার অন্তর গৃহে—যে গুপ্ত আলয়ে অন্তর্যামী জেগে আছে মুখ দুঃখ লয়ে, যেখানে আমার যত লজ্জা আশা ভয় সদা কম্পমান, পরশ নাহিক সয় এত সুকুমার। ছিলে খেলার সঙ্গিনী, এখন হয়েছ মোর মৰ্ম্মের গৃহিণী, জীবনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী । কোথা সেই অমূলক হাসি অশ্রু, সে চাঞ্চল্য নেই,