পাতা:সোনার তরী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سمكة هم সোনার তরী । আষাঢ় হতেছে শেষ, মিশায়ে মল্লার দেশ রচি “ভরা বাদরের” সুর । খুলিয়া প্রথম পাতা, গীতগোবিন্দের গাথা গাহি “মেঘে অম্বর মেদুর ।” স্তব্ধ রাত্রি দ্বিপ্রহরে ঝুপ ঝুপ বৃষ্টি পড়ে— শুয়ে শুয়ে সুখ-অনিদ্রায় “রজনী সাঙন ঘন ঘন দেয়া-গরজন” সেই গান মনে পড়ে যায়। “পালঙ্কে শয়ান রঙ্গে বিগলিত চীর অঙ্গে” মন সুখে নিদ্রায় মগন,— সেই ছবি জাগে মনে পুরাতন বৃন্দাবনে রাধিকার নির্জন স্বপন । মৃদু মৃদু বহে শ্বাস, অধরে লাগিছে হাস কেঁপে উঠে মুদিত পলক,— বাহুতে মাথাটি খুয়ে, একাকিনী আছে শুয়ে, গৃহ কোণে মান দীপালোক ; গিরিশিরে মেঘ ডাকে, বৃষ্টি ঝরে তরু শাখে, , দাদুর ডাকিছে সারারাতি – হেন কালে কি না ঘটে ! এ সময়ে আসে বটে এক ঘরে স্বপনের সার্থী । মরি মরি স্বপ্ন শেষে পুলকিত রসাবেশে, যখন সে জাগিল একাকী, দেখিল বিজন ঘরে দীপ নিৰু-নিবু করে প্রহরী প্রহর গেল হাকি ;–