পাতা:সোনার তরী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী । ব্যাখ্যায় করিতে পারি উলটুপলেট !” সমস্বরে কহে সবে—“হিং টিং ছট্‌ !” স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃত সমান, গোঁড়ানন্দ কবি ভণে, শুনে পুণ্যবান ! স্বপ্নকথা শুনি মুখ গম্ভীর করিয়া কহিল গৌড়ীয় সাধু প্রহর ধরিয়া, “নিতা ; সরল অর্থ, অতি পরিষ্কার, বহু পুরাতন ভাব, নব আবিষ্কার । ত্ৰ্যম্বকের ত্রিনয়ন ত্রিকাল ত্রিগুণ শক্তিভেদে ব্যক্তিভেদ দ্বিগুণ বিগুণ । বিবর্তন আবর্তন সম্বর্তন আদি জীবশক্তি শিবশক্তি করে বিসস্বাদী । আকর্ষণ বিকর্ষণ পুরুষ প্রকৃতি আণব চৌম্বক বলে আকৃতি বিকৃতি । কুশগ্রে প্রবহমান জীবাত্ম বিদ্যুৎ ধারণ পরম শক্তি সেথায় উদ্ভূত । ত্রয়ী শক্তি ত্রিস্বরূপে প্রপঞ্চে প্রকট— সংক্ষেপে বলিতে গেলে “হিং টিং ছট্‌ ! স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃত সমান, গোঁড়ানন্দ কবি ভণে, শুনে পুণ্যবান ! সাধু সাধু সাধু রবে কাপে চারিধার, সবে বলে—পরিষ্কার—অতি পরিষ্কার !