পাতা:সোনার তরী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 সোমার তরী | আকাশ রয়েছে চাহি, নয়নে নিমেষ নাহি, হুহু করে সমীরণ ছুটেছে অবাধ । স্বৰ্য্য ওঠে প্রাতঃকালে পূৰ্ব্ব গগনের ভালে সন্ধ্যাবেল ধীরে ধীরে উঠে আসে চাদ । জলরাশি অবিরল করিতেছে কলকল অতল রহস্ত যেন চাহে বলিবারে – কাম্যধন আছে কোথা জানে যেন সব কথা, সে ভাষা যে বোঝে সেই খুজে নিতে পারে। কিছুতে ভ্ৰক্ষেপ নাহি, মহাগাথা গান গাছি? সমুদ্র আপনি শুনে আপনার স্বর। কেহ যায়, কেহ আসে, কেহ কাদে, কেহ হাসে, ক্ষ্যাপী তীরে খুজে ফিরে পরশ-পাথর! এ একদিন, বহুপূৰ্ব্বে, আছে ইতিহাস— নিকষে সোনার রেখা সবে যেন দিল দেখা— । আকাশে প্রথম স্বষ্টি পাইল প্রকাশ ; মিলি’ যত সুরাসুর কৌতুহলে ভরপুর এসেছিল পা টিপিয়া এই সিন্ধুৰ্তরে, অতলের পানে চাহি নয়নে নিমেষ নাহি নীরবে দাড়ায়ে ছিল স্থির নতশিরে ; বহুকাল স্তব্ধ থাকি? শুনেছিল মুদে’ আঁখি এই মহাসমুদ্রের গীতি চিরন্তন ; . তার পরে কৌতুহলে ঝাপায়ে অগাধ জলে করেছিল এ অনন্ত রহস্ত মন্থন ।