পাতা:সৌরপুরাণম্‌.djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তত্রিংশেই ধ্যায়ঃ । যদিদং নিৰ্ম্মলং চক্ৰং জালন্ধর ময়াম্বুধে । বলং তে যদি চোদ্ধৰ্ভু তিষ্ঠ যোদ্ধঞ্চ নাস্তথা আকর্ণ্য তস্য বচনং ক্ৰোধসংরক্তলোচন: | শূলিনং প্রাহ বিপ্রেস্তাস্ত্রৈলোক্যং প্রদহান্নব। জলন্ধর উবাচ। রেখামাত্র কিযুদ্ধৰ্ভু কিমিদং ভাষসে শিব। মেৰ্বাদম্নোহপি তিষ্ঠন্তি কিং ময়া ন বিচালিতা: যা ত্বয়া লিখিত রেখা চক্ররূপ মহেশ্বর। তামুদ্ধত্য ততো হাম্ম ত্বাং নন্দি প্রমুথৈঃ সহ ॥১৮ বালত্বে নিৰ্জ্জিতে ব্ৰহ্মা তরসৈব পুরা ময়। নিক্ষিপ্তে। ভগবান বিষ্ণুলালয় শতযোজনম্। ইনাস্থ্য লোকপালাশ্চ বদ্ধাঃ কারাগৃহে স্থিতা: | দাসীভূতাঃ স্থিয়ন্তেষাং বৰ্ত্তস্তে মদগৃহে শিব। দোর্তাং বিয়ম্নদী রুদ্ধ ক্রীড়ার্থং হিমবদিগরেী দিগ্‌গজাশ্চ বিনিক্ষিপ্তাঃ সিন্ধাবৈরাবণাদয় ॥২১ করিলেন এবং বললেন,-হে জালন্ধর ! আমি সমুদ্রে এই যে নিৰ্ম্মল চক্র প্রস্তুত করিলাম, ইহা উত্তোলন করিতে যদি তোমার সামর্থ হয় ত যুদ্ধের জন্ত থাক, নতুবা নহে । হে বিপ্রশ্রেষ্ঠগণ! জালন্ধর শিবের এই কথা শ্রবণে ক্রোধ রক্তলোচন হইয়া, যেন ত্ৰৈলোক্য দাহ করত শিবকে বলিল,—শিব ! ও চক্র ত রেখামাত্র, উহা উত্তোলন করিতে বলিভেছ কি ? সুমেরু প্রভৃতিও কি মৎকর্তৃক সঞ্চালিত না হইয় আছে ? হে মহেশ্বর । চক্ররূপিণী যে তোমার অঙ্কিত রেখা, তাহা উত্তোলন করিয়া পরে তোমাকে নন্দিপ্রভৃতির সহিত বধ করি। আমি বাল্যাবস্থাতেই বলপূৰ্ব্বক ব্ৰহ্মাকে জয় করিয়াছি, ভগবান বিষ্ণুকে অবলীলাক্রমে শত যোজন ছুড়িয়া ফেলিয়াছি, ইশ্রাদি লোকপালগণ বন্ধনদশায় আমার কারাগারে রহিয়াছে। হে শিব ! তাহদের পত্নীগণ আমার গৃহে দাসী হইয়া রহিয়াছে। আমি ক্রীড়ার জন্ত আকাশগঙ্গাকে বাহুযুগল খায়৷ হিমালয়ে রুদ্ধ করিয়াছি। ঐরাবত প্রভৃতি দিগ্‌গজগণকে সাগরে নিক্ষেপ శిశి বড়বাগ্নেমুখে রুদ্ধে চৈকার্ণব ইবভবৎ । তস্মান্ন জানাসি কথং শস্তে মম পরাক্রমস্ ॥২২ ত্বমিপি প্রাপয়াম্যষ্ঠ জিত্ব কারাগৃহং প্রতি ॥২৩ তস্য তস্বচনং শ্রীত্ব দানবস্ত মহেশ্বরঃ । নেত্রাগ্নিলবভাগেন চমুং তস্য’দহৎ ক্ষণাৎ ॥২৪ অক্ষৌহিণীনাং সাহস্ৰং লীলয়ৈব মহেশ্বরঃ । কুত্ব তদ্ভৰ্ম্মসাদ্বিপ্র জলন্ধরমথব্রবীৎ | ২৫ ঈশ্বর উবাচ। সময়ে যঃ কৃভঃ পূৰ্ব্বং লেখামুদ্ধয়ণং প্রতি । কুরু দৈ ক্ষ্য কথা শীঘ্ৰং ভঙ্গে মাং জেতুমৰ্হসি অথ শম্ভোর্বচঃ শ্ৰুত্বা মদগন্ধে দৈত্যপুঙ্গব: | দোর্তমাস্ফোট্য বেগেন লেখামুন্ধৰ্ভুমুগুত ॥২৭ সুদৰ্শনখ্যং যচ্চক্ৰং কৃঙ্গুেণ মহত। দ্বিজা ৷ স্বন্ধে বৈ স্থাপয়মাস দ্বিধাতুতে তত: ক্ষণাৎ ॥ নিপপাত ততো দৈত্যে মেঘাচল ইবাপন্নঃ । তস্য দেহস্য রক্তেন সম্পূরিতমভূজ্জগৎ । ২৯ করিয়াছি । আমি বাড়বানল প্রতিরুদ্ধ করতে, সমুদ্রজলে একাৰ্ণৰ হইবার উপক্রম হইয়াছিল। অতএব হে শম্ভে ! ! আমার বিক্রম তুমি জান না কেন ? তোমাকেও অদ্য জয় করিয়া কারাগারে পাঠাইব । ১৪-২৩ । মহেশ্বর জালন্ধের কথা শুনিয়া,নয়নানল-কণিকা দ্বারা সেই দৈত্যের সহস্ৰ অক্ষৌহিণী সৈন্ত ক্ষণমধ্যে অবলীলাক্রমে দগ্ধ করিলেন । অনস্তর হে বিপ্ৰগণ । জলন্ধর অসুরকে তিমি বলিলেন,—হে দৈত্য ! আমার অঙ্কিত রেখা (যাহা চক্ররূপে পরিণত, তাহ) উত্তেলন করিতে পূৰ্ব্বে স্বীকার করিয়াছ, তাহা শীঘ্র সম্পাদন কর ; পয়ে আমাকে জয় করবে। অনস্তর মদদ্ধ দৈত্যরাজ, শিব বাক্য শ্রবণ করিয়া সবেগে বাহ্বাস্ফোটনপূর্বক সেই রেখা উত্তোলনে উষ্ঠত হইল। সেই রেখাই সুদর্শনচক্র । হে দ্বিজগণ । মহাকষ্টে দৈত্যরাজ তাহা স্কন্ধে স্থাপন করিল ; তৎক্ষণাৎ ভদ্বার স্কন্ধ দ্বিখণ্ডিত হইলে, সেই দৈত্য, দ্বিতীয় কৃষ্ণপৰ্ব্বতের ষ্টায়, নিপতিত হইল। তদীর শরীররক্তে