বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৬)

অবশ হইয়া গিয়াছে। এক আত্মশক্তির অভাবে কেহই কোন কার্য্য করিতেছে না। সেই আত্মশক্তিই আমি বা আপনি। এই আত্মশক্তির বশীভূত হইয়া যদি আত্মারামে লাগিয়া থাকিতে পারি, তাহা হইলেই স্বাধীন নচেৎ আমি পরাধীন। আত্মা ব্যতীত ইন্দ্রিয়ের ধর্ম্মে রত থাকার নাম পরাধীনতা। আসক্তির সহিত ইন্দ্রিয়ের ধর্ম্মে রত হইলেই ব্যভিচার হইবে, ব্যভিচার হইলে নিশ্চয়ই পতন হইবে। যিনি ইন্দ্রিয়ে রত না থাকিয়া সর্ব্বদা আত্মাতে থাকেন, তাঁহাকেই প্রকৃত স্বাধীন বলা যাইতে পারে। যিনি আত্মভাবে থাকিয়া সর্ব্বত্র সমান ভাবে বিচরণ করেন তিনিই যথার্থ স্বাধীন পদবাচ্য। তাহা কৈ? তাহা ত আমার নাই। তবে আমি স্বাধীন কিসে? কেবল কথার স্বাধীন, কাজের নয়। আমি ত ঐরূপ স্বাধীন হইয়াই সর্ব্বনাশ করিতে বসিয়াছি। সংযমী পুরুষ ব্যতীত পুরুষমাত্রই স্ত্রীজাতির শত্রু এবং সংযমশালিনী স্ত্রী ব্যতীত স্ত্রীজাতি পুরুষজাতির শক্র অর্থাৎ সাধারণ স্ত্রী ও পুরুষ উভয়েই পরস্পর পরস্পরের শক্র। স্ত্রীও যেমন পুরুষকে মোহিত করিতে পারে পুরুষও তদ্রুপ নানা প্রকার প্রলোভনে স্ত্রীজাতিকে মোহিত করিতে পারে। একারণ স্বামি ব্যতীত স্ত্রীজাতির পরপুরুষের মুখাবলোকন করা উচিত নয়। পরপুরুষ মাত্রকেই পুত্র বা পিতৃবৎ জ্ঞান করা উচিত এবং পুরুষেরও নিজ স্ত্রী ব্যতীত পরস্ত্রীর মুখাবলোকন করা কর্ত্তব্য নয়, পরস্ত্রী মাত্রকেই জননীর ন্যায় জ্ঞান করা উচিত। কারণ, স্বভারসিদ্ধ যে কাম আমাতে আছে সেই কাম স্ত্রীতেও আছে। সেই কামকে আমি কিংবা স্ত্রী উভয়ের কেহই জয়