করিতে পারি নাই। সুতরাং সেই কাম অবসর পাইলেই আমার উপর জোর করিবে। কামের উদয় হইলে তাহার বেগ কে নিবারণ করিতে পারে? যিনি কামকে জয় করিয়াছেন, তিনি ব্যতীত অপরের সাধ্য নাই। ইচ্ছার নাশ না হইলে কামজয় হইবে না। বিনা সাধনে ইচ্ছার নাশ হইতে পারে না। সাধনের অভাবে ইচ্ছা বলবতী রহিয়াছে, ইন্দ্রিয়সংযমও হয় নাই। এমন অবস্থায় স্ত্রীস্বাধীনতা দিতে যাওয়া আমার বাতুলতা মাত্র। তবে অনেক সময় অনেক কারণে ইন্দ্রিয়চরিতার্থ করা কার্য্যতঃ ঘটিয়া উঠে না বটে, কিন্তু মনে মনে সকল কার্য্যই ত হইয়া যায়। মনের ধর্ম্মই এই যে, সে সর্ব্বদা নূতন নূতন কর্ম্ম ও নূতন নূতন সুখ অনুসন্ধান করিতেছে, কখনই এক বিষয়ে স্থির থাকে না। ইহা মনের স্বতঃসিদ্ধ স্বভাব। এমত অবস্থায় যদি আমাদের কোন রূপ সামাজিক বন্ধন না থাকে তাহা হইলে কে আমাদিগকে কুকার্য্য হইতে আট্কাইয়া রাখিবে? ধর্ম্মভয় যদিও না থাকে লোকলজ্জার ভয়ে ও অনেকে অনেক কর্ম্ম হইতে বিরত থাকেন। একারণ সামাজিক ধর্ম্মবন্ধন ছিন্ন করা কোনক্রমেই উচিত নয়। মনে করুন, লোকে গরুর গলায় বা শিঙে দড়ি বাঁধে কেন? দড়ি বাঁধিবার উদ্দেশ্য এই যে, সে কাহারও অনিষ্ট না করে। বন্ধন না থাকিলে যে গুলা ষাঁড় সে গুলা লোক্কে গুঁতাইয়া মারিবে, অথবা গাভীর প্রতি অযথা আক্রমণ করিবে এবং লোকেরও সর্ব্বনাশ করিবে। একারণ ষাঁড়কে এবং গাভীকেও বন্ধন করিয়া রাখিতে হয়, কেন না গাভীর দ্বারাও অনিষ্টের আশঙ্কা আছে। পরের
পাতা:স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা.pdf/১১
অবয়ব
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৭)