বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(১১)

করিবার জন্য স্ত্রীজাতির সৃষ্টি করিয়াছেন বা স্ত্রীরূপ ধারণ করিয়াছেন। যদি বলি, না, তিনি বঞ্চনার জন্য সৃষ্টি করেন নাই বা স্ত্রীরূপ ধারণ করেন নাই, আমরা লোভের বশীভূত হইয়া নিজে বঞ্চিত হইতেছি, তাহাতেও মীমাংসা হইল না। কেন না, যদি লোভের জিনিষ না থাকিত, তাহা হইলে ত আর আমার লোভ হইত না? যখন লোভের জিনিষ রহিয়াছে, তখন লোভ কেন না হইবে? যখন লোভ রহিয়াছে এবং জিনিষও রহিয়াছে, তখন কার্য্য কেন না হইবে? তবে যে সময়ে সময়ে কার্য্যের অভাব হয় তাহা কেবল রাজভয়ে এবং লোকলজ্জা ভয়ে। নচেৎ মনে মনে সকল কার্য্যই হইয়া যায় ও মনের অশান্তিরও অভাব হয় না। এমত অবস্থায় দোষী কে? যদি আমি কপট ভক্ত হই অর্থাৎ লোককে জানাই যে,আমি ভক্ত তাহা হইলে মুখে বলিব আমিই দোষী; কিন্তু ইহা আমার অন্তরের কথা নয়, কারণ পাছে লোকে আমাকে অভক্ত ভগবৎদ্বেষী বলিয়া নিন্দা করে এই ভয়ে আমি বলি আমি দোষী; কিন্তু বাস্তবিক যদি স্ত্রীজাতি মাত্রেই মুক্তিপথের কণ্টক হয় তাহা হইলে আমি কখনই দোষী হইতে পারি না। কারণ তিনি কি জানিতেন না যে, ইহা কণ্টকে পরিণত হইবে? যদি বলি জানিতেন না, তাহা হইলে তাঁহার সর্বজ্ঞতাতে দোষ পড়ে, আর যদি বলি জানেন, তাহা হইলে এ বানর নাচাইয়া তাঁহার লাভ কি? বস্তুতঃ জ্ঞানের চক্ষে দেখিতে গেলে আমিও দোষী নহি, তিনিও দোষী নহেন। কেন না স্ত্রী-দেহেও তিনি আছেন পুংদেহেও তিনি আছেন, দেহ কিন্তু তিনি নহেন। এমত অবস্থায় স্ত্রীজাতি মুক্তিপথের কণ্টক কখনই হইতে পারে না। তবে স্ত্রীজাতির প্রতি পশুভাবের