বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(১২)

আসক্তিই কণ্টকস্বরূপ ও মুক্তিমার্গের প্রতিবন্ধক। উপস্থিত কালে শিক্ষার দোষে কি পুরুষ কি স্ত্রী উভয়েই কামাসক্ত, সুতরাং পরস্পর পরস্পরের কণ্টকস্বরূপ। নচেৎ পুরুষ যদি যথার্থ ধার্ম্মিক হন এবং স্ত্রী যদি যথার্থ ধর্ম্মপত্নী হন, তাহা হইলে মুক্তিমার্গের পথ অতি নিকট হয়, কারণ পরস্পর পরস্পরের সাহায্যে শূন্যস্বরূপ ব্রহ্মে লয় প্রাপ্ত হন। পক্ষী যেমন উভয় পক্ষের সাহায্যে অনায়াসে শূন্যমার্গে বিচরণ করে এবং উভয় পক্ষের একটী কাটিয়া দিলে তাহার উড়িবার ব্যাঘাত হয়, তেমনি স্ত্রী এবং পুরুষ পরস্পর পরস্পরের সাহায্যে শূন্য স্বরূপ ব্রহ্মে বিচরণ করিতে সক্ষম হইয়া থাকে। নতুবা মধ্যে মধ্যে পতিত হইতে হয় অর্থাৎ সাধকের সাধনাবস্থায় বা সিদ্ধাবস্থায় যদি ধর্ম্মপত্নী সঙ্গে থাকে তাহা হইলে কামদেবের শর হইতে অব্যাহতি পাওয়া যায়, নচেৎ উপায় নাই, পতন নিশ্চয়। সুতরাং স্ত্রীজাতি মুক্তিপথের প্রধান সাহায্যকারী। ঋষিরাও বলিয়াছেন,—“সস্ত্রীকো ধর্ম্মমাচরেৎ” ধর্ম্মপত্নীই র্ম্মধ-সাধনের সহায় অতএব স্ত্রীর সহিত ধর্ম্ম-কর্ম্ম করিবে। এমন স্ত্রীজাতিকে বিনা শিক্ষায় স্বেচ্ছাচারিতারূপ স্বাধীনতা প্রদান করা কোনমতেই উচিত নয়। তাঁহারা যখন নিজপতির সহিত সাধনের দ্বারা আত্মানন্দ বা ব্রহ্মানন্দ লাভ করিবেন তখন আপনা আপনিই স্বাধীন হইবেন, কাহাকেও বলিতে হইবে না। তখন স্বচ্ছন্দ মনে জগতে যথা তথা বিচরণ করিতে পারিবেন। তখন আর কাহারও দ্বারা কাহারও অনিষ্টের আশঙ্কা থাকিবে না। তখন প্রস্তর তাঁহাকে দেখিয়া ভয়ে কম্পিত হইবে; কারণ তখন তিনি