পাতা:স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(১৪)

লাভ- করিয়া একটা প্রকৃত স্বার্থপর হইয়াছি। নিজের সুখের জন্য সদাই ব্যাকুল, দেশের লোকের প্রতি দয়া নাই। আমার পয়সা হইলেই হইল, তুমি মর আর বাঁচ তাহাতে আমার ক্ষতি নাই। ধর্ম্ম কাহাকে বলে জানি না; তবে লোকের কাছে ধার্ম্মিক বলিয়া পরিচিত হইবার জন্য, একটা না একটা সমাজভুক্ত আছি মাত্র। বস্তুতঃ আমি ইন্দ্রিয়ের দাস বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। উচ্চশিক্ষা লাভ করিয়া যদি আমায় ইন্দ্রিয়ের দাস হইতে হইল, তাহা হইলে আর আমার কি শিক্ষা হইয়াছে? যদি এরূপ বিদ্যাশিক্ষায় আমার নিজের কিছুই লাভ হইল না, তবে সরলমতি বালিকাগণকে তাহা কিরূপে অধ্যয়ন করান যাইতে পারে? সুতরাং উক্তরূপ বিদ্যা আমাদের দেশের উপযোগী নয়। বিশেষতঃ স্ত্রীলোকেরা কাহার নিকট বিদ্যাশিক্ষা করিবেন? পুরুষের নিকট হইতে বয়স্থা স্ত্রীলোকে শিক্ষা গ্রহণ করিতে গিয়া কুশিক্ষাও প্রাপ্ত হইতে পারেন, কারণ, উভয়ের মধ্যে কেহই সংযমী নহেন বরং উভয়েই ইন্দ্রিয়ের দাস। এরূপ স্থলে কিছুই অসম্ভব নয়, সবই সম্ভব। যদি বলি পাশ্চাত্য বিদ্যায় না হয় দোষ হইল, আমাদের দেশীয় ভাষা সংস্কৃত বা বাঙ্গালা, তাহাতে আর কি দোষ হইতে পারে? তাহাতেও দোষ আছে। পাশ্চাত্য বিদ্যাতেও যে আশঙ্কা, ইহাতেও তাহাই। কারণ, ইহাই বা কাহার নিকট শিক্ষা করিবে? যাঁহাদের নিকট সংস্কৃত বা বাঙ্গালা শিক্ষা করিতে হইবে তাঁহারাও ত সংযমী নহেন। সুতরাং ইহাতেও ব্যভিচারের আশঙ্কা আছে। ইহাও স্ত্রীলোকের উপযুক্ত শিক্ষা নয়। এক্ষণে দেখা যাউক স্ত্রীলোকদিগকে কিরূপ শিক্ষা দেওয়া যাইতে পারে এবং সে শিক্ষাই