বা কি ও কাহার নিকট হইতেই বা ঐ শিক্ষা গ্রহণ করিবে? প্রথমতঃ আমাদের দেশে বালিকাদিগকে বিবাহের পূর্ব্ব পর্য্যন্ত বর্ত্তমান সময়ের ন্যায় কোন শিক্ষা দিবার প্রয়োজন নাই। বালিকারা কেবলমাত্র পিতামাতার কার্য্য প্রণালী দেখিয়া চলিবে। পিতামাতারও বালকবালিকাগণের সম্মুখে কোন অন্যায় কার্য্য বা অশ্লীল বাক্য প্রয়োগ করা উচিত নহে। কারণ, বিবাহের পূর্ব্বপর্য্যন্ত পিতামাতাই বালিকাগণের শিক্ষাপুস্তক। বালকবালিকাগণ পিতামাতার কোন রূপ কদাচার দেখিলে তাহা আর কোন কালে বিস্তৃত হইবে না। একারণ পিতামাতার এরূপ সতর্কভাবে চলা উচিত যাহাতে বালকবালিকাগণের কুশিক্ষা না হয়। উপস্থিত কালে তাহ অতি বিরল। পিতামাতার শিক্ষা নাই, বালকবালিকা শিক্ষিত হইবে কি রূপে? উপস্থিত কালে প্রায়ই শুনিতে পাওয়া যায়, বালকবালিকারা পিতামাতার অবাধ্য হয়, পিতামাতাকে ভক্তি করে না, অথবা গালি দেয়, কটু-কাটব্য বলে। ইহা কেবল পিতামাতার দোষেই হইয়া থাকে, বালকবালিকার দোষে নহে। আমি আমার পিতামাতাকে যে দ্বারে দেখিব, আমার বালকবালিকাগণও আমায় ঠিক সেই ভাবে দেখিবে। আমি যদি আমার পিতামাতাকে দেবভাবে দেখিতাম, তাহা হইলে আমার সন্তানেরাও আমাকে দেবভাবে দেখিত। আমি যদি পিতামাতাকে দাস দাসী ভাবে দেখিয়া থাকি তাহা হইলে আমাকেও তাহারা দাস ভাবে দেখিবে—তাহাদের নিকট আমার দেবভাবের আশা করা বৃথা। আশা করিলেও চলিবে না; কারণ বাল্যকালে তাহারা
পাতা:স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা.pdf/১৯
অবয়ব
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(১৫)