কিরূপে যাইতে উপদেশ বা পরামর্শ দেওয়া যাইতে পারে? বরং তাঁহারা যাহাতে কণ্টকাকীর্ণ পথে না যান, তাহার উপায় করা উচিত। আর যদি নিতান্তই তাঁহারা সেই কণ্টকাকীর্ণ পথে চলিতে ইচ্ছা করেন, তাহা হইলে যাহা সন্তানের কর্ত্তব্য তাহা করা উচিত—মাতা যে পথে চলিতেছেন, সেই পথ পরিষ্কার করা অর্থাৎ সেই পথে যে সকল কণ্টক আছে তৎসমুদয় উৎসারণ করিয়া দূরে নিক্ষেপ করা। কারণ, তাঁহার চরণে কণ্টক বিদ্ধ হইলে তিনি আর চলিতে পারিবেন না। সুতরাং তাঁহার পতন হইবে। তাঁহার পতন হইলে সন্তানও আর জননীর নিকট হইতে সদুপদেশ পাইবে না। সুতরাং একের পতনে উভয়েরই পতন সম্ভাবনা। কারণ তখন আর কে সদুপদেশ দিয়া আমাদের ধর্ম্ম রক্ষা করিবে? জননীর পতনে ধর্ম্ম কর্ম্ম সব নষ্ট হইয়া যাইবে এবং সর্ব্বত্রই ব্যভিচারে পূর্ণ হইবে। জননীর প্রতি সন্তানের অভক্তি হইবে, সন্তানের প্রতি জননীর আর স্নেহ থাকিবে না। স্ত্রীর প্রতি পতির প্রণয় যাইবে, স্ত্রীরও পতির প্রতি প্রণয়ভক্তির হ্রাস হইবে। সংসারের যাবতীয় সুখস্বাচ্ছন্দ্য দূর হইয়া উভয়েরই কষ্টের কারণ হইবে। এমত স্বেচ্ছাচারিতারূপ স্ত্রীস্বাধীনতা যাহাতে সমূলে উৎপাটিত হয়, প্রাণপণে তাহার চেষ্টা করা উচিত এবং যাহাতে আমাদের জননীরা প্রকৃত স্বাধীনতা লাভ করিলে পারেন, তাহার চেষ্টাও প্রাণপণে করা চাই। কারণ, জননী যদি স্বাধীনতারূপ রত্ন লাভ করিতে পারেন, তাহা হইলে সন্তানেরও তাহাতে অধিকার আছে। কেন না, কোন ভাল বস্তু পাইলে সন্তানকে না দিয়া জননীরা নিজে তাহা গ্রহণ
পাতা:স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা.pdf/৮
অবয়ব
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৪)