পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য অধিক সৌন্দৰ্য্যশালী, তা নিরপেক্ষ সঙ্গীতজ্ঞ মাত্রেই স্বীকার করবেন ।” স্বীকার করিতে বাধ্য ! স্বীকার না করিলে তিনি হয় নিরপেক্ষ নহেন, না হয় সঙ্গীতজ্ঞ নহেন। হেতু ? হেতু এই যে, একজন পাকাচুল এবং একজন হ্যাড়ামাথা উভয়ে সমস্বরে বলিতেছি । জোর করিয়া বলিতেছি । ইহার পরেও যে সংসারে কি যুক্তি থাকিতে পারে আমরা ত ভাবিয়া পাই না । আমরা পুনশ্চ বলিতেছি যে, “দ্রুপদ হচ্চে সব রীতির গানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ, গরিষ্ঠ ও পূজ্যতম!” দুনিয়ায় এমন অৰ্ব্বাচীন কে আছে যে, এতবড় অখণ্ড যুক্তির সম্মুখেও লজ্জায় অধোবদন না হয় । তবু ত শক্তিশেল হানিলাম না। বাড়ুৰ্য্যে মহাশয়ের মুখপাতের যুক্তিটা চাপিয়া গেলাম ! আমাদের ওস্তাদদের সম্বন্ধে দিলীপকুমার বলিয়াছেন যে, আমরা ছাত্রদের পক্ষে মাছি-মারা নকলের পক্ষপাতী, অর্থাৎ ছাত্রদের আমরা গ্রামেফোন করিয়াই রাখিতে চাই,দিলীপকুমারের এ অভিযোগ সম্পূর্ণভিত্তিহীন। প্রমথবাবু ত স্পষ্টই বলিতেছেন “আমি ত কোন দিনই আমার ছাত্রদের নিজস্ব ব্যক্তিত্বকে দাবিয়ে রাখবার চেষ্টা করিনি,—কেন না, স্বাধীন স্ফূৰ্ত্তির অবসর না দিলে শিক্ষা দানের উদেশ্বই ব্যর্থ হ’য়ে शांग्न । * * * * शेउTानि ।” আমার নিজের ছাত্রদের সম্বন্ধেও আমার ঠিক ইহাই অভিমত। এবং শিক্ষাদানের যথার্থ উদ্দেশ্য বিফল হইয়া যায় তাহ আমরা কেহই চাহিনী । ( অবশ্য কিঞ্চিং অবাস্তর হইলেও এ কথা বোধ করি এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, আমার নিজের ছাত্র নাই। কারণ, যথেষ্ট চেষ্টা করা সত্ত্বেও কোন ছাত্রই আমার কাছে শিখিতে চাহে না । У о о