পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ গ্রহণ করেছিলাম, আজ তাকে অকারণে বা নিছক স্বার্থের দায়ে ত্যাগ করে যাচ্ছি, যাবার সময় এ কলঙ্কও আমার প্রাপ্য নয়। আমার এই কথাটাই আজ আপনাদের একটু ধৈর্য্য ধরে’ শুনতে হবে। - আমার মনের মধ্যে হয়ত রূঢ় কথ। কোথাও একটু থেকে যেতে পারে, হয়ত আমার অভিযোগের মধ্যে অপ্রিয় সুরও আপনাদের কানে বাজাবে, কিন্তু আমাদের বর্তমান অবস্থায় যা’ সত্য বলে’ জেনেছি ব। বুঝেছি, আপনাদের গোচর না করে আজ আমার ছুটি হ’তেই পারে না । কারণ, সত্য গোপন কর আত্মবঞ্চনারই সমান । এক আশঙ্ক। প্রতিপক্ষের উপহাস ও বিদ্রুপ । কিন্তু নিজের কৰ্ম্মফলে তাই যদি অর্জন করে থাকি, আমি ছাড়া সে আর কে নেবে ? আর তা যদি না হয়ে থাকে, বিদ্রপের হেতু যদি সত্যই না ঘটে থাকে ত ভয় কিসের ? যথার্থ সম্মানের বস্তুকে যে মূঢ় অযথা ব্যঙ্গ করে, সমস্ত লজ্জা-ত তারই। অতএব, এ সকল মিথ্যা দুশ্চিন্ত৷ আমার নেই। আমার একমাত্র চিন্তা অকপটে আপনাদের কাছে সমস্ত ব্যক্ত করা। কারণ, প্রতীকারের ইচ্ছা ও শক্তি আপনাদেরই হাতে । এই শেষ মুহূৰ্ত্তেও যদি একে মৃত্যুর হাত থেকে বাচাতে চান, সে শুধু আপনারাই পারেন। পাঞ্জাব অত্যাচার উপলক্ষে বছর দেড়েক পূর্বে একদিন যখন দেশব্যাপী আন্দোলন উত্তাল হ’য়ে উঠেছিল, তখন আমরা আকাশজোড়া চীৎকারে চেয়েছিলাম স্বরাজ । মহাত্মাজীর জয় জয়কার গলা ফাটিয়ে দিগ্বিদিকে প্রচার করে’ বলেছিলাম, স্বরাজ চাই-ই চাই । স্বাধীনতায় মানুষের জন্মগত অধিকার । এবং স্বরাজ ব্যতিরেকে কোন অন্যায়েরই কোন দিন প্রতিবিধান হতে পারবে না। কথাটা যে মূলতঃ 5