পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের রীতি ও মীতি আছে ন কি যে, ইচ্ছা করিলেই কেহ আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া দিবে ? সমস্তই নির্ভর করে লেখকের শিক্ষা, সংস্কার, রুচি ও শক্তির উপরে। একজনের হাতে যাহা রসের নিকর অপরের হাতে তাহাই কদৰ্য্যতায় কালো হইয় উঠে ৷ শ্লীল, অশ্লীল, আক্র, বে-আব্রু এ সকল তর্কের কথ। ছাড়িয়া দিয় তাহার আসন্ন উপদেশটি সকল সাহিত্য-সেবারই সবিনয়ে শ্রদ্ধার সহিত গ্রহণ করা উচিত। নর-নারীর যৌন-মিলন যে সকল রস-সাহিত্যের ভিত্তি, এ সত্য কবি অস্বীকার করেন নাই । তথাপি মোট কথাটি বোধ হয় তাহার এই যে, ভিত্তির মত ও-বস্তুটি সাহিত্যের গভীর ও গোপন অংশেই থাকৃ। বনিয়াদ যত নীচে_এবং যতই প্রচ্ছন্ন থাকে অট্টালিক ততই সুদৃঢ় হয়। ততই শিল্পীর ইচ্ছামত তাহাতে কারুকার্য রচনা করা চলে। গাছের শিকড়, গাছের জীবন ও ফুল-ফলের পক্ষে যত প্রয়োজনীয়ই হৌক তাহাকে খুড়িয়া উপরে তুলিলে তাহার সৌন্দৰ্য্যও যায়, প্রাণ ও শুকায়। এ সত্য যে অভ্রান্ত তাহা ত না বলা চলে না। অবশু ঠিক এ জিনিষটিই আধুনিক সাহিত্যে ঘটতেছে কি না সে প্রশ্ন স্বতন্ত্র । নরেশচন্দ্র রবীন্দ্রনাথের লেখা হইতে অনেকগুলি নজির তুলিয়া দিয়া বলিতেছেন,— “শারীর ব্যাপার মাত্রেই তে। অপাংক্তেয় নয়, কেননা, চুম্বনের স্থান সাহিত্যে পাক৷ করিয়া দিয়াছেন বঙ্কিমচন্দ্র হইতে রবীন্দ্রনাথ পৰ্য্যন্ত সকল সাহিত্য-সম্রাট। আলিঙ্গনও চলিয়া গিয়াছে।" কিন্তু আলিঙ্গন ত দূরের কথা চুম্বন কথাটাও আমার বইয়ের মধ্যে নিতান্ত বাধ্য না হইলে দিতে পারি না। ওঠা পাশ কাঠাইতে পারিলেই বাচি। নর-নারীর মধ্যে ইহা অাছেও জানি, চলেও জানি , দোষেরও ১২৩