পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেন প্রশ্ৰ কল্যাণীয়া ইl, ‘শেষপ্রশ্ন’ নিয়ে আন্দোলনের ঢেউ আমার কানে এসে পৌচেছে। অন্তত:, যে গুলি অতিশয় তীব্র এবং কট সেগুলি বেন না দৈবাং আমার চোখ কান এড়িয়ে যায়, যারা অত্যন্ত শুভানুধ্যায়ী তাদের সেদিকে প্রখর দৃষ্টি। লেখাগুলি সযত্নে সংগ্রহ করে লালনীল-সবুজ-বেগনী নানা রঙের পেন্সিলে দাগ দিয়ে, তার ডাকের মাশুল দিয়ে অত্যন্ত সাবধানে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এবং পরে আলাদা চিঠি লিখে খবর নিয়েছেন পৌছল কিনা। তাদের আগ্রহ, ক্রোধ ও সমবেদনা হৃদয় স্পর্শ করে। নিজে তুমি কাগজ পাঠাওনি বটে, কিন্তু তাই বলে রাগও কম করেনি। সমালোচকের চরিত্র, রুচি, এমন কি পারিবারিক জীবনকেও কটাক্ষ করেছে। একবারও ভেবে দেখোনি যে শক্ত কথা বলতে পারাটাই সংসারে শক্ত কাজ নয়! মানুষকে অপমান করায় নিজের মৰ্য্যাদাই আহত হয় সব চেয়ে বেশী। জীবনে এ যারা ভোলে তারা একটা বড় কথাই ভুলে থাকে। তা’ ছাড়া এমন তো হতে পারে “পথের দাবী" এবং "শেষপ্রশ্ন” এর সত্যিই খুব খারাপ লেগেছে। পৃথিবীতে সব বই সকলের জন্য নয়,—সকলেরই ভাল লাগবে এবং প্রশংসা করতে হবে এমন তো কোন বাধা নিয়ম নেই। তবে, সেই কথাটা প্রকাশ করার ভঙ্গীট ভালো হয়নি, এ আমি মানি । Ꮌ88