পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ প্রশ্ন ভায় অহেতুক রূঢ় এবং হিংস্র হয়ে উঠেছে, কিন্তু এইটেই তো রচনা রীতির বড় সাধনা । মনের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনার যথেষ্ট কারণ থাকা সত্ত্বেও যে, ভদ্র ব্যক্তির অসংযত ভাষা প্রয়োগ করা চলে না, এই কথাটাই অনেক দিনে অনেক দুঃখে আয়ত্ত করতে হয়। তোমার চিঠির মধ্যে এ ভুল তুমি তার চেয়েও করেছে। এত বড় আত্ম-অবমাননা আর নেই। ভাবে বোধ হয় তুমি অল্প দিনই কলেজ ছেড়েচে । লিখেচে তোমার সর্থীদেরও এমনি মনোভাব। যদি হয় সে দুঃখের কথা । এ লেখ যদি তোমার হাতে পড়ে তাদের দেখিয়ে। শীলতা মেয়েদের বড় ভূষণ, এ সম্পদ কারো জন্তে, কোন কিছুর জন্তেই তোমাদের ক্ষোয়ানো চলে না। . . . - জানতে চেয়েছে। আমি এ সকলের জবাব দিইনে কেন ? এর উত্তর—আমার ইচ্ছে করে না, কারণ ও আমার কাজ নয়—আত্মরক্ষার ছলেও মানুষের অসম্মান করা অামার ধাতে পোষায় না । দেখো না লোকে বলে আমি পতিতাদেরও সমর্থন করি । সমর্থন আমি করিনে, শুধু অপমান করতেই মন চায় না। বলি, তারাও মানুষ, তাদেরও নালিশ জানাবার অধিকার আছে, এবং মহাকালের দরবারে এদের বিচারের দাবী একদিন তোলা রইলো। অথচ, সংস্কারের অন্ধতায় লোকে এ কথাটা কিছুতে স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু এ সব আমার নিতান্ত ব্যক্তিগত কথা । আর না ! তবে এ সম্বন্ধে আর একটা কথা বোধ হয় বল। ভালে । তোমরা হয়তো তখন ছোট, অধুনালুপ্ত একখানা মাসিক পত্রে তখন রবীন্দ্রনাথকে এবং তার ভক্তশিয় বলে আমাকেও মাসের পর মাস আক্রমণ Ꮌ8☾ У о