পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ মস্ত ফ্যাসাদ বেধে যাওয়াও তো অসম্ভব নয়। বাধেনি সে ভালই, এবং আমিও একে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে চাইনে, কিন্তু এ নিয়ে দাপাদ্যপি করে বেড়ানোরও হেতু নাই। একেই মস্ত রুতিত্ব বলে সাস্তুন লাভ করতে যাওয়া আত্ম-প্রবঞ্চনা। আর Indifference ? এ কথায় যদি কেউ এই ইঙ্গিত করে থাকে যে, মহাত্মার কারারোধে দেশের লোকের গভীর ব্যথা বাজেনি, ত তার বড় মিছে কথা আর হতেই পারে না। ব্যথা আমাদের মৰ্ম্মান্তিক হ’য়েই বেজেছে ; কিন্তু তাকে নিঃশবো সহ করাই আমাদের স্বভাব, প্রতীকারের কল্পনা আমাদের মনেই আসে না । প্রিয়তম পরমাত্মীয় কাউকে যমে নিলে শোকাৰ্ত্ত মন যেমন উপায়হীন বেদনায় কাদতে থাকে, অথচ, যা অবশ্যম্ভাবী তার বিরুদ্ধে হাত নেই, এই বলে মনকে বুঝিয়ে আবার খাওয়া-পরা, আমোদ-আহলাদ, হাসি-তামাসা, কাজ-কৰ্ম্ম যথারীতি পূর্বের মতই চলতে থাকে, মহাত্মার সম্বন্ধেও দেশের লোকের মনোভাব প্রায় তেমনি। তাদের রাগ গিয়ে পড়ল জজ সাহেবের উপর। কেউ বললে তার প্রশংসা বাক্য কেবল ভণ্ডামি, কেউ বললে তার দু’বছর জেল দেওয়া উচিত ছিল, কেউ বললে বড় জোর তিন বছর, কেউ বললে না চার বছর, কিন্তু ছ’বছর জেল যখন হ’ল তখন আর উপায় কি ? এখন গবর্ণমেণ্ট যদি দয়৷ করে কিছু আগে ছাড়েন তবেই হয়। কিন্তু এই ভেবে তিনি জেলে যাননি। তার একান্ত মনের আশা ছিল হোকু না জেল ছ’বছর, হোকৃ না জেল দশ বছর,—র্তাকে মুক্ত করা ত দেশের লোকেরই হাতে। যে দিন তার চাইবে, তার একটা দিন বেশী কেউ তাকে জেলে ধরে’ রাখতে পারবে না, তা সে গবর্ণমেণ্ট যতই কেন না শক্তিশালী হউন । কিন্তু সে আশা তার একলারই ছিল, দেশের লোকের সে ভরসা করবার সাহস Vo