পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ প্রশ্ন মতে ঘাড় বেকিয়ে কেবলই বলতে থাকবে—ও হয় না-ও হয় Al go art for art's sake #ife wrotaton of আর অপর পক্ষের অবস্থাটা হ’বে আমাদের হরির মত । গল্পট বলি। আমার এক দূর সম্পর্কের ভগ্নীর বছর চারেকের একটি ছেলের নাম হরি,—সাক্ষাৎ শয়তান। মার-ধর গালিগালাজ, একপায়ে কোণে দাড় করিয়ে দেওয়া—কোন উপায়েই তার মা তাকে শাসন করতে পারলে না। বাড়ীশুদ্ধ লোকে যখন এক প্রকার হার মেনেছে, তখন ফন্দিটা হঠাৎ কে যে আবিষ্কার করলে জানিনে, কিন্তু হরিবাবু একেবারে শায়েস্ত হয়ে গেল। শুধু বলতে হোতে এবার পাড়ার পাচজন ভদ্রলোক ডেকে এনে ওকে অপমান করো। অপমানের ধারণ তার কি ছিল সেই জানে, কিন্তু ভয়ে যেন শীর্ণকায় হয়ে উঠতো। এদেরও দেখি তাই। একবার বললে হোলো—প্রচার করেছে ! art for art’s sake of fo fo 25E ofb, Coiotă করেচি, কি তার দোষ, কোন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেল—এ সব প্রশ্নই অবৈধ ৷ তখন কেউ বা দিতে লাগলে গালা-গালি, কেউবা জোড় হাতে ভগবানের আরাধনায় লেগে গেল—“রূপকার যদি সংস্কারক হয়ে ওঠেন, তবে হে ভগবান ইত্যাদি ইত্যাদি” । ওরা বোধ হয়, ভাবেন অনুপ্রাসটাই যুক্তি এবং গালিগালাজটাই সমালোচনা। তাদের এ কথা বলা চলবে না যে, জগতের যা চিরস্মরণীয় কাব্য ও সাহিত্য, তাতেও .কোন না কোন রূপে এ বস্তু আছে। রামায়ণে আছে, মহাভারতে আছে, কালিদাসের কাব্যগ্রন্থে আছে, আনন্দমঠ দেবীচৌধুরাণীতে আছে, ইবসেন-মেটারলিঙ্ক-টলষ্টয়ে আছে, হামস্বন-বোয়ার-ওয়েলসে ›8ግ