পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথ কবির জীবনের সপ্ততি বৎসর বয়স পূর্ণ হোলো। বিধাতার এই আশীৰ্ব্বাদ শুধু আমাদিগকে নয়, সমস্ত মানবজাতিকে ধন্য করেছে। সৌভাগ্যের এই স্মৃতিকে আনন্দোৎসবে মধুর ও উজ্জ্বল করে আমরা উত্তর কালের জন্য রেখে যেতে চাই এবং সেই সঙ্গে নিজেদেরও এই পরিচয়টুকু তাদের দিয়ে যাবে যে, কবির শুধু কাব্যেই নয়, তাকে আমরা চোখে দেখেচি, তার কথা কাণে শুনেচি, তার আসনের চারিধারে ঘিরে বস্থার ভাগ্য আমাদের ঘটেচে। মনে হয়, সেদিন আমাদের উদেশেও তারা নমস্কার জানাবে। সেই অনুষ্ঠানের একটি অঙ্গ—আজকের এই সাহিত্য-সভা। সাহিত্যের সম্মিলন আরও অনেক বস্বে, আয়োজন-প্রয়োজনে তাদের গৌরবও কম হবে না, কিন্তু আজকের দিনের অসামান্তত তারা পাবে না। এতো সচরাচরের নয়, এ বিশেষ এক দিনের, তাই এর শ্রেণী স্বতন্ত্র। সাহিত্যের আসরে সভা-নায়কের কাজ আরও করবার ডাক ইতিপূৰ্ব্বে আমার এসেছে, আহবান উপেক্ষা করতে পারিনি, নিজের অযোগ্যতা স্মরণ করেও সসঙ্কোচে কৰ্ত্তব্য সমাপন করে এসেচি, কিন্তু এই সভায় শুধু সঙ্কোচ নয়, আজ লজ্জা বোধ করচি। আমি নি:সংশয় যে, এ গৌরব আমার প্রাপ্য নয়, এ ভার বহনে আমি অক্ষম। এ তামার প্রচলিত বিনয়-বাক্য নয়, এ আমার অকপট সত্য কথা । Σ( ο