পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথ তথাপি আমন্ত্রণ অস্বীকার করিনি। কেন যে করিনি আমি সেই টুকুই শুধু ব্যক্ত করব। আমি জানি বিতর্কের স্থান এ নয়, সাহিত্যের ভালো মন্দ বিচার, এর, জাতিকুল নির্ণয়ের সমস্ত নিয়ে এ পরিষং আহূত হয়নি,—তার প্রয়োজন যথাস্থানে—আমরা সমবেত হয়েছি বৃদ্ধ কবিকে শ্রদ্ধার অর্ঘ্য নিবেদন করে দিতে। তাকে সহজভাবে বলতে—কবি, তুমি অনেক দিয়েছে, এই দীর্ঘকালে তোমার কাছে আমরা অনেক পেয়েছি। সুন্দর, সবল, সৰ্ব্ব-সিদ্ধি-দায়িনী ভাষা দিয়েছে তুমি, তুমি দিয়েছে। বিচিত্র ছন্দোবদ্ধ কাব্য, দিয়েছে। অনুরূপ সাহিত্য, দিয়েছে জগতের কাছে বংলার ভাষা ও ভাবসম্পদের শ্রেষ্ঠ পরিচয়, আর দিয়েছে যা’ সকলের বড়—আমাদের মনকে তুমি দিয়েছে বড় করে। তোমার হষ্টির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার আমার সাধ্যাতীত—এ আমার ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ ” প্রজ্ঞাবান যারা যথাকালে তারা এর আলোচনা করবেন, কিন্তু তোমার কাছে আমি নিজে কি পেয়েছি সেই কথাটাই ছোট করে জানাবো বলেই এ নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলাম । ভাষার কারুকার্য্য আমার নাই । ওতে যে পরিমাণ বিদ্যা এবং শিক্ষার প্রয়োজন, সে আমি পাইনি, তাই মনের ভাব প্রচলিত সহজ কথায় বলাই আমার অভ্যাস–এবং এমনি করেই বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু দুগ্রহ এসে বিঘ্ন ঘটালে। একে আমি বিখ্যাত কুঁড়ে, তাতে বায়ু-পিত্ত-কফ আদি আয়ুৰ্ব্বেদোক্ত চরের দল একযোগে কুপিত হয়ে আমাকে শয্যাশায়ী করে দিলে । এমন ভরসা ছিল না যে, নড়তে পারবো। কিন্তু একটা বিপদ এই যে, চিরকাল দেখে আসচি আমার অমুখের কথা কেউ বিশ্বাস করে না, যেন ও আমার হতে Ꮌ© Ꮌ