পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার কথt উঠতে থাকৃ—কেবল এই গোটাকতক বুদ্ধিভ্রষ্ট লক্ষ্মীছাড়া লোক না খেয়ে না দেয়ে, খালি গায়ে থালি পায়ে ঘুরে ঘুরে যদি স্বরাজ এনে দিতে পারে ত দিক, তখন না হয় তাকে ধীরে স্কুস্থে চোখ বুজে পরম আরামে রসগোল্লার মত চিবানো যাবে। কিন্তু এমন কাণ্ড কোথাও কখনো হয় না। আসল কথা এরা বিশ্বাস করতেই পারে না, স্বরাজ নাকি আবার কখনও হ’তে পারে । তার জন্য আবার নাকি চেষ্টা করা যেতে পারে। কি হ’বে তাতে, কি হ’বে চরকায়, কি হ’বে দেশাত্মবোধের চর্চায় ? নিবানে দীপ-শিখার মত মনুষ্যত্ব ধুয়ে মুছে গেছে, একমাত্র হাত পেতে ভিক্ষের চেষ্টা ছাড়া কি হ’বে আর কিছুতে ! একটা নমুনা দিই – সেদিন নারী কৰ্ম্মমন্দির থেকে জন দুই মহিলা ও শ্ৰীযুক্ত ডাক্তার প্রফুল্লচন্দ্র রায় মহাশয়কে নিয়ে দুৰ্য্যোগের মধ্যেই আমৃত অঞ্চলে বেড়িয়ে পড়েছিলাম, ভাবলাম ঋষিতুল্য ও সৰ্ব্বদেশপূজ্য ব্যক্তিটাকে সঙ্গে নেওয়ায় এ যাত্র আমার স্থযাত্র হবে । হ’য়েও ছিল । বন্দেমাতরম্ ও মহাত্মার ও তার নিজের প্রবল জয়ধ্বনির কোন অভাব ঘটেনি এবং ওই রোগ। মানুষটিকে স্থানীয় রায় বাহাদুরের ভাঙ্গ তাঞ্জামের মধ্যে সবলে প্রবেশ করানোরও আন্তরিক ও একান্ত উদ্যম হ’য়েছিল। কিন্তু তার পরের ইতিহাস সংক্ষেপে এইরূপ—আমাদের - যাতায়াতের ব্যয় হ’ল টাকা পঞ্চাশ । ঝড়ে, জলে আমাদের তত্ত্বাবধান করে বেড়াতে পুলিশেরও খরচ হ’য়ে গেল বোধ হয় এমনি একটা কিছু। বদ্ধিষ্ণু স্থান, উকীল মোক্তার ও বহু ধনশালী ব্যক্তির বাস, অতএব স্থানীয় তাত ও চরকার উন্নতিকল্পে চাদ প্রতিশ্রুত হ’ল তিন টাকা পাচ আন। তারপর আচাৰ্য্য দেব বহু পরিশ্রমে જે