পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বরাজ সাধনায় নারী তোমাদের দীর্ঘ অবকাশের প্রাক্কালে, তোমাদের এবং আমার পরম বন্ধু শ্ৰীযুক্ত স্বরেন্দ্রনাথ মৈত্র মহাশয়, এই শেষের দিকের অসহ বেদনার গোট কয়েক কথা তোমাদের মনে করে দেবার জন্যে আমাকে আহবান করেছেন এবং আমিও সানন্দে তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি। এই সুযোগ এবং সম্মানের জন্য তোমাদের এরং গুরুস্থানীয়দের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ দিই। এই সভায় আমার ডাক পড়েছে দু’টো কারণে। একেত মৈত্র মশাই আমার বয়সের সম্মান করেছেন, দ্বিতীয়তঃ একটা জনরব আছে, দেশের পল্লীত পল্লীতে, গ্রামে গ্রামে আমি অনেক দিন ধরে’ অনেক ঘুরেছি। ছোট বড়, উচু নীচু, ধনী নিধন, পণ্ডিত মূৰ্থ বহু লোকের সঙ্গে মিশে মিশে, অনেক তত্ত্ব সংগ্রহ করে রেখেছি। জনরব কে রটিয়েছে খুজে পাওয়া শক্ত, কিন্তু কথাটা ঠিক সত্য না হ’লেও একেবারে মিথ্যাও বলা চলেন । দেশের নব্বই জন যেখানে বাস করে’ আছেন সেই পল্লীগ্রামেই আমার ঘর। মনের অনেক আগ্রহ, অনেক কৌতুহল দমন করতে না পেরে অনেক দিনই ছুটে গিয়ে তাদের মধ্যে পড়েছি, এবং তাদের বহু দুঃখ, বহু দৈন্তের আজও আমি সাক্ষী হ’য়ে আছি । তাদের সেই সব অসহ, অব্যক্ত, দুঃখ ও দৈন্য ঘোচাবার ভার নিতে আজ আমার দেশের সমস্ত নরনারীকে আহবান করতে সাধ যায়, কিন্তু কণ্ঠ আমার রুদ্ধ হয়ে আসে, যখনই মনে হয়, মাতৃভূমির এই মহাযজ্ঞে নারীকে আহবান করার আমার কতটুকু অধিকার আছে! যাকে দিই নি, তার কাছে প্রয়োজনে দাবী করি কোন মুখে ? কিছুকাল পূৰ্ব্বে নারীর মূল্য’ বলে’ আমি একটা প্রবন্ধ লিখি। সেই সময় মনে হয়, আচ্ছা, আমার >○