পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ অর্থাৎ আমরা দেশের শিক্ষিত সমাজ বেড়ার ডগায় বসেছিলাম, পশ্চিম প্রত্যাগত কবির ইঙ্গিতে ‘জয়রাম বলে পশ্চিম দিকেই লাফিয়ে পড়লাম । বাচ গেল ! শিক্ষিত সমাজের এতদিনে একটা কিনারা হ’ল ! কিন্তু শিক্ষিতের দল যা নিয়ে এত বড় রই-রই করেন, র্যাদের অশিক্ষিত অজ্ঞ প্রভৃতি বিশেষণে অভিহিত করতে বিন্দুমাত্র সঙ্কোচ অনুভব করেন না,—তাদের যুক্তি-তর্কে এর কি মূল্য দাড়ায় একবার সেটাও ওজন করা ভাল। কিন্তু মোটের উপর পূর্ব ও পশ্চিমের শিক্ষার মিলনে আসল কথা কবি কি বলেছেন ? প্রথম কথা বলেছেন এই যে, আজকের দিনে পশ্চিম জয়ী হ’য়েছে সুতরাং সেই জয়ের কৌশলট তাদের কাছে আমাদের শেখ চাই । বেশ । দ্বিতীয় কথা, লড়াইয়ের পরে পশ্চিম শোকাকুল হয়ে জিজ্ঞাসা কবৃছে, ভারতের বাণী কই ? অতএব তাদের সেটা বলে’ দেওয়া আবশ্বক। এও ভাল কথা। আমি যতদূর জানি অসহযোগপন্থীর কেউ এ বিষয়ে কোন আপত্তি করে না । তৃতীয় দফায় কবি উপনিষদের ঋষিবাক্য উদ্ধৃত করে’ বলেছেন, “ঈশাবাস্য-মিদং সৰ্ব্বম্” অতএব “ম। গৃধঃ” । চমৎকার কথা,—কারও কোন দ্বন্দ্ব নেই। এ যে একটা তত্ত্ব নয় সমস্ত দুনিয়ায় এও কেউ লোকসমাজে অস্বীকার করে না, অথচ মামুষের এমন পোড়া স্বভাব যে, সে সরল ও সহজ সত্য কিছুতেই সোজা করে’ বলে’ মিটিয়ে নেবে না। আপন আপন স্বার্থ ও প্রয়োজন মত, *f; WCW who sub-clause, of RE qualification of আমদানি করে তাকে এমনি ভারাক্রান্ত করে তুলবে যে, তত্ত্বকথা আপনি হেঁয়ালি হ’য়ে দাড়াবে। তখন অসঙ্কোচে তাকে সত্য বলে’ চিনে নেওয়াই কঠিন। শুধু এই জন্তই উপস্থিত factগুলোই २8