পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষার বিরোধ ংসারে সত্যের মুখোস পরে’, মানুষের কৰ্ম্ম ও চিন্তার ধারার মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করে, অপরিমেয় অনর্থের সূচনা করে দেয় । 影 কবি প্রথমেই বলেছেন,— “এ কথা মালতেই হবে যে, আজকের দিনে পৃথিবীতে পশ্চিমের লোক জয়ী হয়েছে। পৃথিবীকে তার কামধেনুর মত দোহন করেছে, তাদের পাত্র ছাপিয়ে অধিকার ওরা কেন পেয়েছে ? নিশ্চয়ই সে কোন একটাه . . . - ه م ه - ه - ه - ه - إتة (6) সত্যের জোরে ।” আজকের দিনে এ কথা অস্বীকার করবার যে নেই যে, পৃথিবীর বড় বড় ক্ষীরভাণ্ডেই সে মুখ জুবড়ে আছে—তার পেট ভরে দুই কস বেয়ে দুধের ধারা নেমেছে—কিন্তু আমরা উপবাসী দাড়িয়ে আছি । এ একটা fact ; আজকের দিনে একে কিছুতেই ’ন’ বলবার পথ নেই,—আমরা উপবাসী রয়েছি সত্যই কিন্তু তাই বলেই কি এই কথা মানতেই হ’বে যে, এ অধিকার পেয়েছে তার নিশ্চয়ই একটা সত্যের জোরে ? এবং এই সত্য তাদের কাছ থেকে আমাদের শিখতেই হ’বে । লোহ মাটিতে পড়ে, জলে ডোবে, এ একটা fact, কিন্তু একেই যদি মানুষে চরম সত্য মেনে নিয়ে নিশ্চিন্ত হ’য়ে থাকত ত’ আজকের দিনে নীচে, জলের উপর এবং উৰ্দ্ধে আকাশের মধ্যে লোহার জাহাজ ছুটে বেড়াতে পারত না। উপস্থিত কালে যা fact তাই কেবল শেষ কথা নয়। মাসের ১লা তারিখে যে লোকটা তার বিদ্যের জোরে আমার সারা মাসের মাইনে গাট কেটে নিয়ে ছেলেপুলে সমেত আমাকে অনাহারে রাখলে, কিম্বা মাথায় একটা বাড়ি মেরে সমস্ত কেড়ে নিয়ে রাস্তার ওপরে চাটের দোকানে বসে ভোজ লাগালে—এ ૨G.