পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ ঘটনা সত্য হ’লেও কোন সত্য অধিকারে বলতে পারব না, কিম্বা এ দুটাে মহাবিদ্যে শেখবার জন্যে তাদের শরণাপন্ন হতে হবে এও স্বীকার করতে পারব না। তা’ ছাড়া গাটকাট কিছুতেই বলে’ দেবে না পয়সা কোথায় রাখলে কেটে নেওয়া যায় না, অথবা ঠেঙালেও শিখিয়ে দেবে না কি করে তার মাথায় উন্টে লাঠি মেরে আত্মরক্ষা করা যায়। এ যদি বা শিখতেই হয়, ত সে অন্য কোথাও—অন্ততঃ তাদের কাছে নয়। কবি জোর দিয়ে বলেছেন, এ কথা মানতেই হ’বে পশ্চিম জয়ী হ’য়েছে এবং সে শুধু তাদের সত্য বিদ্যার অধিকারে । হয়ত মানতেই হবে তাই। কারণ সম্প্রতি সেই রকমই দেখাচ্ছে। কিন্তু কেবল মাত্র জয় করেছে বলে এই জয় করার বুিঘাটাও সত্য বিদ্যা, অতএব শেখ চাই-ই, একথা কোন মতেই মেনে নেওয়া যায় না। গ্রীস একদিন পৃথিবীর রত্নভাণ্ডার লুটে নিয়ে গিয়েছিল, রোমও তাই করেছিল। আফগানেরাও বড় কম করেনি,–কিন্তু সেটা সত্যের জোরেও নয়, সত্য হ’য়েও থাকেনি। দুৰ্য্যোধন একদিন শকুনির বিদ্যার জোরে জয়ী হ’য়ে পঞ্চপাণ্ডবকে দীর্ঘকাল ধরে’ বনে-জঙ্গলে উপবাস করতে বাধ্য করেছিল, সেদিন দুৰ্য্যোধনের পাত্র ছাপিয়ে গিয়েছিল, তার ভোগের অন্নে কোথাও একটি তিলও কম পড়েনি, কিন্তু তাকেই সত্য বলে মেনে নিলে যুধিষ্ঠিরকে ফিরে’ এসে সারা জীবন কেবল পাশাখেলা শিখেই কাটাতে হোতে । সুতরাং সংসারে জয় করা বা পরের কেড়ে নেওয়ার বিদ্যাটাকেই একমাত্র সত্য ভেবে লুব্ধ হ’য়ে ওঠাই মানুষের বড় সার্থকতা নয়। তা ছাড়া জয় কি কেবল নির্ভর করে বিজেতার উপরেই ? আফগান যখন হিন্দুস্থান জয় করেছিল, সে কি তার নিজের গুণে ? হিন্দুস্থান აა)