পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষার বিরোধ প্রতি যদি শুধু অশ্রদ্ধাই জন্মিয়ে দিয়ে থাকে, ত মনে হয়, লুন্ধচিত্তে পশ্চিমের শুক্রাচার্ঘ্যের পানে আমাদের না তাকানোই ভাল বস্তুত, এই ত নাস্তিকতা। আমি পূৰ্ব্বেই বলেছি, যে-শিক্ষায় মানুষ সত্যকারের! মানুষ হয়ে উঠতে পারে—অন্তত, তাদের মানুষের ধারণা যা-তা' তারা আমাদের দেয় নি, দেবে না এবং আমার বিশ্বাস দিতে । পারেও না । এই সুদীর্ঘকাল পশ্চিমের সংসর্গেও যে আমরা কি হ’য়ে আছি, মাত্র সেইটুকুই কি এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ নয় ? পেয়েছি কেবল এই শিক্ষা—যা”তে নিজেদের সর্ব বিষয়ে অবজ্ঞা এবং তাদের যা কিছু সমস্তের পরেই আমাদের গভীর শ্রদ্ধা জন্মে গেছে। ; আর তাদের ভিতরের দ্বার এমন অবরুদ্ধ বলেই অবনতিও আজ আমাদের এত গভীর। সেটাতে জানবার পথ নেই, তাই শুধু তাদের বাহিরের সাজ সজ্জা দেখে একদিকে নিজেদের প্রতি যেমন ঘৃণা, অন্য দিকে তাদের প্রতিও ভক্তির আবেগ একেবারে শতধারে উৎসারিত হ’য়ে ਚੋਂ তাই, একদিন আমাদের দেশের একদল লোক নিৰ্ব্বিচারে ঠিক করেছিলেন, ঠিক ওদের মত হ’তে না পারলে আর আমাদের মুক্তি নেই ! ওদের জাতিভেদ নেই—অতএব সেটা ঘোচানো চাই, ওদের স্ত্রী-স্বাধীনতা আছে—অতএব সেটা না হ’লেই নয়, তাদের খাওয়া দাওয়ার বাচ-বিচার নেই—সুতরাং ওটা না তুললেই আর রক্ষা নেই, তাদের মন্দির নেই—অতএব আমাদেরও গির্জার ব্যবস্থা চাই, তারা ভাড়৷ করে’ ধৰ্ম্ম-প্রচারক রাখে সুতরাং আমাদেরও ওটা অত্যাবশ্যক— এমনি কত কি ! কেবল গায়ের চামড়াটা বদলাবার ফন্দি তারা খুজে পাননি, নইলে আজ র্তাদের চেনাও যেত না ! অথচ, আমি এর দোষ গুণের বিচার করচিনে, আমি সরল চিত্তে বলছি, কোন দল ○Q wo