পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরু-শিষ্য সংবাদ শিষ্য। প্রভু, আত্ম কি ? ঈশ্বরই বা কি, এবং কি করিয়াই বা তাহা জানা যায় ? গুরু। বৎস, এ বড় কঠিন প্রশ্ন। সকলে জানে না, কিন্তু আমি জানি। বিস্তর সাধনায় তবেই তাকে পাওয়া যায়, যেমন আমি পাইয়াছি। অবধান কর, আমার মুখ হইতে শুনিলেই তুমি জলের মত বুঝিতে পারিবে। (শিষ্যের হা করিয়া থাকা) গুরু। ( গম্ভীর হইয়া) বৎস, শাস্ত্র বলিয়াছেন, “রসো বৈ সঃ” অর্থাং কিনা তিনি–রস। এই রসের দ্বারাই তিনি এক এবং বহু । এই বহুকে পূত রসের দ্বারা উদ্বোধন করিয়া, একের মধ্যে বহু ও ঐক্যের মধ্যে অনৈক্যকে উপলব্ধি করিবে। ভারতবর্ষের ইহাই চিরন্তন সাধনা। আচ্ছ, তাহা হইলে তোমার কি হইবে, ন, ভূমানন্দ লাভ হইবে—যেমন আমার হইয়াছে। * তখন সেই ভূমানন্দকে, একের দ্বার, বহুর দ্বার, ঐক্যের দ্বারা এবং অনৈক্যের দ্বারা, ত্যাগের ভিতর দিয়া পাইলেই তোমার ত্যাগানন্দ লাভ হইবে। বৎস, সেই ত্যাগানদের চিত্রকে বিচিত্র করিয়া হৃদয়ে উপলব্ধি করিতে পারিলেই তোমার ঈশ্বর পাওয়া হইল। এ বোঝা আর শক্ত কি বংস ? শিষ্য। আজ্ঞা,—আজ্ঞা না। তেমন শক্ত নয়। আচ্ছা গুরুদেব, ভূমাননাই বা কি, আর ত্যাগানন্দই বা কি ? Vసి