পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরু । শিষ্য । সাহিত্য বুঝাইয়া বলিতেছি, শ্রবণ কর। পরব্রহ্মই ভূম । ਚੋਂ আনন্দের নামই ভূমানন্দ। এ আনন্দের তুলনা নাই, কিন্তু বড় কঠোর সাধনার আবশ্বক। ভূম অস্ত-বিশিষ্ট অনন্ত, আকার-বিশিষ্ট নিরাকার—অর্থাৎ , নিরাকার কিন্তু সাকার, যেমন কালে কিন্তু সাদা,–বুঝিলে ? আজ্ঞা হা—যেমন কালো কিন্তু সাদা । গুরু। ঠিক তাই। চোখ বুজিয়া অমুভব করিয়া লও, যেন কালে শিষ্য । গুরু । শিষ্য । কিন্তু সাদা। এই যে, এই যে তার পূর্ণরূপ। এই যে র্তার সত্যরূপ, এই সত্যরূপকে হৃদয়ে সম্পূর্ণ উপলব্ধি করিয়া, একাগ্র চিত্তে বিশ্ববাণীর পবিত্র অর্ঘ্য দিয়া শতদল পদ্মের উপর প্রতিষ্ঠিত করিয়া লইবে । বৎস, এমন হা করিয়া চাহিয়া থাকিও না—সাধন করিলেই পরিবে । আজ্ঞা! ই, না হইলে আমিই বা ভূমানন্দে এমন বিভোর হইয়া থাকিতে পারিতাম কি করিয়া ? আচ্ছ, এখন সেই সৎস্বরূপকেই শ্রদ্ধায় নিষ্ঠায় একীভূত করিয়া, সত্যের দ্বারা আবাহন করিয়া লইলেই তোমার হৃদয়ে বিশ্বমানবতার যে বিপুল স্পন্দন জাগ্রত হইয়া উঠিবে, সেই অনুভূতির নামই ভূমানন্দ বংস । বুঝিয়াছি গুরুদেব, এমন কঠিন বস্তু আপনি কত সহজে এবং কি স্বন্দর ভাবে বুঝাইয়া দিলেন! ভূমানন্দ সম্বন্ধে আর আমার বিন্দুমাত্র সংশয় নাই। গুরু । ( মৃদু মৃদু হাস্ত। তদনন্তর চক্ষু বুজিয়া ) বৎস, সমস্তই ভগবৎ প্রসাদাৎ । নিজে বুঝিয়াছি, তাহার সত্যরূপ এই হৃদয়ে «η σ