পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যে আর্ত ও দুৰ্নীতি আমি জানি, সাহিত্য-শাখার সভাপতি হ’বার যোগ্য আমি নই, এবং আমারই মত যার প্রাচীন, আমারই মত যাদের মাথার চুল এবং বুদ্ধি দুই-ই পেকে সাদা হয়ে উঠেছে তাদেরও এ বিয়ে লেশমাত্র সংশয় নেই। কারো মনে ব্যথা দিবার আমার ইচ্ছা ছিল না, তবুও যে এই পদ গ্রহণে সম্মত হয়েছিলাম, তার একটি মাত্র কারণ এই যে, নিজের অযোগ্যতা ও ভক্তিভাজনগণের মনঃপীড়া, এত বড় বড় দু’টো ব্যাপারকে ছাপিয়েও তখন বারম্বার এই কথাটাই আমার মনে হয়েছিল যে, এই অপ্রত্যাশিত মনোনয়নের দ্বারা নবীনের দল আজ জয়যুক্ত হয়েছেন। তাদের সবুজ-পতাকার আহবান আমাকে মাতেই হবে, ফল তার যাই কেন না হউক। আর এ প্রার্থনাও সৰ্ব্বাস্ত:করণে করি, আজ থেকে যাত্র-পথ যেন তাদের উত্তরোত্তর সুগম এবং সাফল্যমণ্ডিত হয় । ষোল বৎসর পূৰ্ব্বে বাঙ্গলার সাহিত্যিকগণের বার্ষিক সম্মিলনের প্ত"য়োজন যখন প্রথম আরব্ধ হয়, আমি তখন বিদেশে। তারও বহুদিন পর পয্যন্তও আমি কল্পনাও করিনি যে, সাহিত্য-সেবাই একদিন আমার পেশা হ’য়ে উঠবে। প্রায় বছর দশেক পূৰ্ব্বে কয়েকজন তরুণ সাহিত্যিকের আগ্রহ ও একান্ত চেষ্টার ফলেই আমি সাহিত্যক্ষেত্রে প্রবিষ্ট হয়ে পড়ি। বাঙ্গলার সাহিত্য-সাধনার ইতিহাসে এই বছর দশেকের ঘটনাই আমি জানি। সুতরাং এ বিষয়ে বলতেই যদি কিছু হয়, ত এই স্বল্প কয়টা বছরের কথাই শুধু বলতে পারি। br○