পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য বিফল, ব্যর্থ, পঙ্গু হয়ে গেল। মানবের রুদ্ধ হৃদয়স্বারে বেদনার এই বাৰ্ত্তাটুকুই যদি পৌছে দিতে পেরে থাকি, ত তার বেশী আর কিছু করবার আমার নেই। এর লাভালাভ খতিয়ে দেখবার ভার সমাজের, সাহিত্যিকের নয়। রমার ব্যর্থ জীবনের মত এ রচনা বর্তমানে ব্যর্থ হ’তে পারে, কিন্তু ভবিষ্যতের বিচারশালায় নির্দোষীর এত বড় শাস্তিভোগ একদিন কিছুতেই মঞ্জুর হবে না, একথা আমি নিশ্চয় জানি । এ বিশ্বাস না থাকলে সাহিত্য-সেবীর কলম সেইখানেই সে দিন বন্ধ হয়ে যেত । আগেকার দিনে বাঙ্গলা সাহিত্যের বিরুদ্ধে আর যা নালিশই থাক্‌, দুনীতির নালিশ ছিল না ; ওটা বোধ করি তখনও খেয়াল হয়নি। এটা এসেছে হালে। তারা বলেন, আধুনিক সাহিত্যের সব চেয়ে বড় অপরাধই এই যে, তার নর-নারীর প্রেমের বিবরণ অধিকাংশই দুনীতিমূলক, এবং প্রেমেরই ছড়াছড়ি। অর্থাৎ নানাদিক দিয়ে এই জিনিষটাই যেন মূলতঃ গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বস্তু হয়ে উঠেছে। নেহাং মিথ্যে বলেন না। কিন্তু তার দুই একটা ছোট খাট কারণ থাকলেও মূল কারণটাই আপনাদের কাছে বিবৃত করতে চাই। সমাজ, জিনিষটাকে আমি মানি, কিন্তু দেবতা বলে মানিনে । বহুদিনের পুঞ্জীভূত, নর-নারীর বহু মিথ্য, বহু কুসংস্কার, বহু উপদ্রব এর মধ্যে এক হয়ে মিলে’ আছে। মানুষের খাওয়া-পরা-থাকার মধ্যে এর শাসনদণ্ড অতি সতর্ক নয়, কিন্তু এর একান্ত নির্দয় মূৰ্ত্তি দেখা দেয় কেবল নর-নারীর ভালবাসার বেলায়। সামাজিক উৎপীড়ন সব চেয়ে সইতে হয় মানুষকে এইখানে । মানুষ একে ভয় করে, এর বস্ততা একান্তভাবে স্বীকার করে, দীর্ঘদিনের এই স্তুপীকৃত ভয়ের সমষ্টিই পরিশেষে ఏ రి