পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যে আর্ট ও নীতি বিধিবদ্ধ আইন হ’য়ে ওঠে, এর থেকে রেহাই দিতে কাউকে সমাজ চায় না । পুরুষের তত মুস্কিল নেই, তার ফাকি দেবার রাস্তা খোলা আছে, কিন্তু কোথাও কোন সূত্রেই যার নিষ্কৃতির পথ নেই সে শুধু নারী। তাই সতীত্বের মহিমা প্রচারই হয়ে উঠেছে বিশুদ্ধ সাহিত্য । কিন্তু এই propaganda চালানোর কাজটাকেই নবীন সহিত্যিক যদি তার সাহিত্য সাধনার সর্বপ্রধান কৰ্ত্তব্য বলে’ গ্রহণ করতে না পেরে থাকে, ত তার কুৎসা করা চলে না; কিন্তু কৈফিয়তের মধ্যেও যে তার যথার্থ চিন্তার বহু বস্তু নিহিত আছে, এ সত্যও অস্বীকার করা যায় না। s’ একনিষ্ঠ প্রেমের মর্য্যাদা নবীন সাহিত্যিক বোঝে, এর প্রতি তার সম্মান ও শ্রদ্ধার অবধি নেই, কিন্তু সে সইতে যা পারে না, সে এর নাম করে ফাকি । তার মনে হয়, এই ফাকির ফাক দিয়েই ভবিষ্যৎ বংশধরের যে-অসত্য তাদের আত্মায় সংক্রামিত করে’ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, সেই তাদের সমস্ত জীবন ধরে ভীরু, কপট, নিষ্ঠুর ও মিথ্যাচারী করে তোলে । সুবিধা ও প্রয়োজনের অকুরোধে সংসারে অনেক মিথ্যাকেই হয়ত সত্য বলে চালাতে হয়, কিন্তু সেই অজুহাতে জাতির সাহিত্যকেও কলুষিত করে তোলার মত পাপ অল্পই আছে। আপাত-প্রয়োজন যাই থাক, সেই সঙ্কীর্ণ গণ্ডী হতে একে মুক্তি দিতেই হ’বে । সাহিত্য জাতীয় ঐশ্বৰ্য্য ; ঐশ্বৰ্য্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত । বর্তমানের দৈনন্দিন প্রয়োজনে তাকে যে ভাঙ্গিয়ে খাওয়া চলে না, একথা কোন মতেই ভোলা উচিত নয়। পরিপূর্ণ মহন্তত্ব সতীত্বের চেয়ে বড়, এই কথাটা একদিন আমি বলেছিলাম। কথাটাকে যৎপরোনাস্তি নোঙর করে তুলে আমার ぬ>