পাতা:স্বদেশ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় Y oV, ( বঙ্গদর্শন পৃ. ২৩২-৩৬ ) ত্যাগ করিয়া বর্তমান গ্রন্থে প্রবন্ধটির সংকলন। প্রবন্ধশেষের বর্জিত অংশে সমকালীন শিক্ষাপদ্ধতি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ যেসকল মন্তব্য করিয়াছেন তাহার প্রাসঙ্গিকতা কিংবা উপযোগিতা এখনো শেষ হয় নাই । বলা আবশু্যক, অন্যান্য রচনাংশের বর্জনে স্বদেশ যদিও ভারতবর্ষ গ্রন্থের অনুসারী, শেষাংশের বর্জন কেবল বর্তমান গ্রন্থে । অতএব জিজ্ঞাস্থ পাঠক বর্জিত ওই অংশ দেখিয়া লইবেন চতুর্থখণ্ড রবীন্দ্র-রচনাবলীতে ( পৃ. ৩৮৪ শেষ অনুচ্ছেদ হইতে পৃ. ৩৮৭ প্রবন্ধশেষ )। ৬ বঙ্গদর্শনে যে ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখে প্রবন্ধের সূচনা, গ্রন্থে তাহা স্বচনার একটি অনুচ্ছেদে তথা বাক্যে সীমিত। যে উপলক্ষে এক আত্মগবী ইংরেজ অধ্যাপকের এই অসৌজন্য ও অবিবেচনা প্রকাশ পাইয়াছিল তাহার সমকালীন বিবরণ আছে ছিন্নপত্র তথা ছিন্নপত্রাবলীর কটক হইতে লেখা ১০ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৩ তারিখের চিঠিতে ( প্রচল গ্রন্থে সংখ্যা যথাক্রমে ৭০ ও ৭৯ )। ওই স্থলে ওইরূপ উদ্ধত আলাপে রবীন্দ্রনাথ মনে যে আঘাত পান, প্রায় এক দশক সময়েও তাহা ভুলিতে পারেন নাই বা ভুলিবার স্থযোগ পান নাই— ইহা লক্ষ্য করিতে হইবে । বর্তমান সংকলনের সূচনাতেই রবীন্দ্রনাথ লেখেন : অন্যত্র বলিয়াছি ইত্যাদি। এই ‘অন্যত্র বলিতে অবশু বুঝিতে হইবে ‘রাজা ও প্রজা’ গ্রন্থে সংকলিত (রবীন্দ্র-রচনাবলীর দশম খণ্ডের অঙ্গীভূত ) “অপমানের প্রতিকার” (১৩০১) প্রবন্ধের সূচনা। ৭ ইতঃপূর্বে আত্মশক্তি (১৩১২) গ্রন্থে সংকলিত ; পুনঃপ্রচারহীন ওই গ্রন্থ বর্তমানে তৃতীয়খণ্ড রবীন্দ্র-রচনাবলীর অঙ্গীভূত। বঙ্গদর্শনে প্রবন্ধের পাদটীকায় অাছে : “গত ১৭ই আষাঢ় শনিবার রাজধানী আগরতলায় ‘ত্রিপুরা-সাহিত্য-সম্মিলনী’র প্রতিষ্ঠ উপলক্ষে বঙ্গদর্শন