পাতা:স্বদেশ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖԵ- স্বদেশ তা বোঝা যাবে। অতিরিক্ত বাহমুখ-প্রিয়তাকেই বিলাসিত বলে, তেমনি অতিরিক্ত বাহপবিত্রতা-প্রিয়তাকে আধ্যাত্মিক বিলাসিত বলে । একটু খাওয়াটি শোওয়াটি বসাটির ইদিক-ওদিক হলেই যে স্বকুমার পবিত্রত ক্ষুন্ন হয় তা বাবুয়ানার অঙ্গ। এবং সকল প্রকার বাবুয়ানাই মনুষ্যত্বের বলবীর্য-নাশক । সংকীর্ণতা এবং নিজীবতা অনেকটা পরিমাণে নিরাপদ, সে কথা অস্বীকার করা যায় না। যে সমাজে মানবপ্রকৃতির সম্যক ক্ষুতি এবং জীবনের প্রবাহ আছে সে সমাজকে বিস্তর উপদ্রব সইতে হয়, সে কথা সত্য । যেখানে জীবন অধিক সেখানে স্বাধীনতা অধিক, এবং সেখানে বৈচিত্র্য অধিক। সেখানে ভালো মন্দ দুইই প্রবল। যদি মানুষের নখদন্ত উৎপাটন করে, আহার কমিয়ে দিয়ে, দুই বেলা চাবুকের ভয় দেখানো হয়, তা হলে এক দল চলৎশক্তিরহিত অতি নিরীহ পোষা প্রাণীর স্বষ্টি হয় ; জীবস্বভাবের বৈচিত্র্য একেবারে লোপ হয় ; দেখে বোধ হয়, ভগবান এই পৃথিবীকে একটা প্রকাগু পিঞ্জর-রূপে নির্মাণ করেছেন, জীবের আবাসভূমি করেন নি । কিন্তু সমাজের যে-সকল প্রাচীন ধাত্রী আছেন তারা মনে করেন, সুস্থ ছেলে দুরন্ত হয় এবং দুরন্ত ছেলে কখনো কাদে, কখনো ছুটোছুটি করে, কখনো বাইরে যেতে চায়, তাকে নিয়ে বিষম ঝঞ্চাট, অতএব তার মুখে কিঞ্চিৎ অহিফেন দিয়ে তাকে যদি মৃতপ্রায় করে রাখা যায় তা হলেই বেশ নির্ভাবনায় গৃহকার্য করা যেতে পারে। সমাজ যতই উন্নতি লাভ করে ততই তার দায়িত্ব এবং কর্তব্যের Ψηπίπüπ Φπλακαϊμπωμα AASAASAA AAMAMAeAMAMAAAA জটিলতা স্বভাবতই বেড়ে উঠতে থাকে। যদি আমরা বলি আমরা এতটা পেরে উঠব না, আমাদের এত উদ্যম নেই, শক্তি নেই, যদি আমাদের পিতামাতারা বলে পুত্রকন্যাদের উপযুক্ত বয়স পর্যন্ত মচুন্যত্ব শিক্ষা দিতে আমরা অশক্ত কিন্তু মানুষের পক্ষে যত সত্বর সম্ভব (এমন-কি, অসম্ভব