পাতা:স্বদেশ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\○。 স্বদেশ করিয়াছেন তাহারাও এই মন্থণ চিক্কণ পীতহরিৎ বসনখানিতে বনশ্রীকে অকস্মাৎ সাজিতে দেখিয়াছেন, উজ্জয়িনীর পুরোদ্যানে কালিদাসের মুগ্ধ দৃষ্টির সম্মুখে এই সমীরকম্পিত কুসুমগন্ধি অঞ্চলপ্রাস্তটি নবস্থর্যকরে ঝলমল করিয়াছে। নূতনত্বের মধ্যে চিরপুরাতনকে অনুভব করিলে তবেই অমেয় যৌবনসমুদ্রে আমাদের জীর্ণ জীবন স্নান করিতে পায়। আজিকার এই নববর্ষের মধ্যে ভারতের বহু সহস্র পুরাতন বর্ষকে উপলব্ধি করিতে পারিলে, তবেই আমাদের দুর্বলতা, আমাদের লজ্জা, আমাদের লাঞ্ছনা, আমাদের দ্বিধা দূর হইয়া যাইবে । ধার-করা ফুলে পাতায় গাছকে সাজাইলে তাহা আজ থাকে, কাল থাকে না । সেই নূতনত্বের অচিরপ্রাচীনতা ও বিনাশ কেহ নিবারণ করিতে পারে না। নববল নবসৌন্দর্য আমরা যদি অন্যত্র হইতে ধার করিয়া লইয়া সাজিতে যাই, তবে দুই দণ্ড বাদেই তাহা কদৰ্যতার মাল্যরূপে আমাদের ললাটকে উপহসিত করিবে ; ক্রমে তাহা হইতে পুষ্পপত্র ঝরিয়া গিয়া কেবল বন্ধনরজ্জ্বটুকুই থাকিয়া যাইবে । বিদেশের বেশভূষা ভাবভঙ্গি আমাদের গাত্রে দেখিতে দেখিতে মলিন শ্রীহীন হইয়া পড়ে, বিদেশের শিক্ষণ রীতিনীতি আমাদের মনে দেখিতে দেখিতে নিজীব ও নিষ্ফল হয় ; কারণ তাহার পশ্চাতে সুচিরকালের ইতিহাস নাই ; তাহা অসংলগ্ন, অসংগত, তাহার শিকড় ছিন্ন। অন্তকার_নববর্ষে আমরা_ভারতবর্থের_চিরপুরাতন_হইতেই আমাদের নবীনতা গ্রহণ করিব ; সায়াহ্নে যখন বিশ্রামের ঘণ্টা বাজিবে_ তখনো তাহা ঝরিয়া পড়িবে না ; তখন সেই অমানগৌরব মাল্যথানি আশীর্বাদের সহিত আমাদের পুত্রের ললাটে বাধিয়া দিয়া তাহাকে নির্ভয়চিত্তে সবলহৃদয়ের বিজয়ের পথে প্রেরণ করিব। জয় হইবে, ভারতবর্ষেরই জয় হইবে । যে ভারত প্রাচীন, যাহা প্রচ্ছন্ন, যাহা বৃহৎ,. যাহা উদার, যাহা নির্বাক, তাহারই জয় হইবে । আমরা, যাহার} इऽब्राजिबलिटउहि, बक्शिन कब्रिळउहि, बिशा कश्डिहि, जान्झांजन